পিসি নিউজ বাংলা : এক একটি খাদ্যে একেক ধরণের গুণ। কামুটেও রয়েছে বহু খাদ্যগুণ। অবশ্য কামুটের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত নই। জানা যায়, কামুটের জন্ম প্রাচীন মিশরে। ১৯৯০ সাল থেকে এই শস্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। ৯০ এর দশকে কামুট মিশর থেকে আমেরিকায় আসে। আসলে এটি একধরনের খোরাসান গম। শোনা যায় যে, কামুট মিশরীয় সমাধিতে পাওয়া গিয়েছিল। তাই এটি রাজার শস্যও হিসাবেও পরিচিত।
দেখতে সাধারণত গমের চেয়ে এটি আকারে বড়ো। এই গম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কামুটে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ডায়েটারি ফাইবার।
এটি সহজেই হজম হয়। এক কাপ রান্না করা কামুটে থাকে ২২৭ ক্যালোরি, ৪৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম চর্বি, ১০ গ্রাম প্রোটিন এবং ৭ গ্রাম ফাইবার। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই শস্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন ৩০ গ্রাম কামুট খেলে ওজন কমে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে। ২০১২ সালের গবেষণায় কামুটে প্রোবায়োটিক স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে যা পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই শস্যে সেলেনিয়াম থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। সেলেনিয়ামের ঘাটতি হলে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন কমে যেতে পারে। কামুটে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আবার ম্যাঙ্গানিজ আর ফসফরাস থাকার জন্য হাড়ও মজবুত করে। স্যালাড, সুপ বা স্ট্যুতে কামুট খেতে পারেন। অনেকে ভাতের পরিবর্তেও কামুট খান। পাস্তা, পিৎজার রুটি ও বিয়ার তৈরিতে কামুটের ব্যবহার হয়।