সজনে ডাটা দিয়ে আলু পোস্ত, চচ্চড়ি ।এমনকি বড়া অবধি খেয়েছেন তো,সজনে ফুল দিয়ে?তাছাড়া সজনে ডাটা পাওয়ায় যায় না সারাবছর। বাজারে এটি অল্প সময়ের জন্য পাওয়া গেলেও অধিকাংশ নারী বুঝে উঠতে পারেন না,কিভাবে ডাটা রান্না করবে?! আর সজনে ডাটা ও ফুল দুটোই কাজ করে বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে।ডাটা বাড়িতে রান্না হলেও নানা রকমের পদে,কিন্তু ফুল..?এর রান্না কম হয়।শুধুমাত্র সজনে ফুলের বড়াই হয় বেশিরভাগ রান্না। আর বলার অপেক্ষা রাখে না,সজনে ফুলের রেণু উপযোগী ঠিক কতটা।সজনে ফুলের পোস্ত যেমন রাধতে লাগে কম সময়। তেমনই দুর্দান্ত লাগে খেতে। বড়া তো খেয়েছেন,এবার খান নিরামিষ সজনে ফুলের পোস্ত।গরম ভাত সাবাড় করুন অনায়াসে
উপকরণ::সজনে ফুল – ৩ কাপ,আলু – ১টা(চৌকো করে ছোটো সাইজে কাটা ),কালো জিরে – হাফ চা চামচ,কাঁচালঙ্কা – ৫ থেকে ৭ টা,(তবে আপনারা স্বাদ মতো দেবেন ঝাল নিজেদের মতো),পোস্ত বাটা – ২ – ৩ টেবিল চামচ,হলুদ গুঁড়ো – হাফ চা চামচ, লংকা গুঁড়ো – হাফ চা চামচ,সরষের তেল – ৪ টেবিল চামচ,স্বাদ মতো নুন।
পদ্ধতি::ফুলগুলিকে ভালো করে ধুয়ে,জল ঝরিয়ে নিতে হবে।এরপর, কড়াই এ সরষের তেল গরম করে তাতে কালো জিরে ফোরণ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে।ভাজা হয়ে সুগন্ধি ছাড়লে তাতে কাচা লংকা কুচি দিয়ে ,টুকরো করে কেটে রাখা আলু দিতে হবে সাথে নুন স্বাদ মতো।কিছু ক্ষন নেড়ে ঢাকা দিন ।নুন দিলাম কারণ এতে সবজি তাড়াতাড়ি নরম হয়।কিছুক্ষন পর ঢাকা খুলে ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে জল ঝরানো সজনে ফুল দিয়ে আবারও স্বাদ মতো নুন দিয়ে ঢাকা দিন। অবশ্যই হালকা আঁচে রান্না করবেন।কারণ বেশি আঁচ হলে লেগে যাওয়ার ভয় থাকে সবজি।আবার,পুষ্টিগুণ চলে যায় উচ্চ তাপে সবজির।এটাও একটা কারণ,হালকা আঁচে রান্নার।কিছুক্ষন পর ঢাকা খুলে ভাজা ভাজা হয়ে, সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে পোস্ত বাটা,হলুদ ও লংকা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।সেদ্ধ না হলে একটু জল দিয়ে আবারও ঢাকা দিতে পারেন।তারপর সেদ্ধ হয়ে গেলে ,গরম গরম পরিবেশন করুন, গরম ভাতে নিরামিষ সজনে ফুলের পোস্ত।