বিভিন্ন ধরনের উপকারী পুষ্টি গুনে ডিম,ভরপুর ।ডিমের হলুদ কুসুম ও সাদা অংশ,উভয়ই পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি,বি6, বি 12,চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন,অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড,কোলেস্টেরল এবং সেলেনিয়াম উপস্থিত।এছাড়াও কিছু খনিজ পদার্থ ও উপস্থিত থাকে। যথা – আয়রন, জিঙ্ক এবং কপার।ডিমের পুষ্টি উপাদানের কথা,যদি বলি আমরা..তাহলে সবচেয়ে সস্তা এবং সহজলভ্য খাদ্য উপাদান হলো ডিম।প্রোটিনের দিক থেকে ডিমের সাদা অংশে চর্বির পরিমাণ কম,কুসুমের তুলনায়।এতে প্রোটিন থাকে অর্ধেকের এরও বেশি।ভিটামিন বি ২ থাকে।সেলেনিয়াম নামক একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ,উপস্থিত থাকে ডিমে।যা ক্যান্সার প্রতিরোধ এ সক্ষম।এছাড়াও এতে উপস্থিত ফসফরাস,দাঁত মজবুত ও হাড় কে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।ক্যালসিয়াম ও আপনার হাড় কে সাহায্য করে,মজবুত রাখতে ।জিঙ্ক,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে আরো শক্তিশালী করে তুলে আপনার শরীরে।যা বা যারা জিমে যান এবং ওজন কমাছেন ,দেখবেন প্রায়শই তারা ডিমের সাদা অংশ টাই খান,কুসুম না খেয়ে।তারা ভাবেন যে,বেশি প্রোটিন তারা সাদা অংশ থেকেই পাবে।
তা কিন্তু নয় একেবারেই।অবশ্যই,ডিম স্বাস্থের ভান্ডার
তবে,কিছু নিয়ম আছে সব কিছু খাওয়া দাওয়ার।স্বাস্থের ক্ষতিও করে,কিছু স্বাস্থ্যকর জিনিস ভুলভাবে খেয়ে।সেই জিনিসগুলোর মধ্যে,ডিম একটি।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ,ডিমের কুসুমের:::
খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি::পেতে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়ার আশঙ্কা থাকে প্রবেশের,সাদা অংশ খেলে ডিমের।তাই,ডিমকে ভালোভাবে সেদ্ধ করা খুবই দরকার।সালমোনেলা কে ধ্বংস করতে।
এলার্জি প্রবণ::শিশুদের ডিমের সাদা অংশে,এলার্জি হতে পারে যে কোনও ধরনের বিশেষ করে ।তার লক্ষ্মণ গুলি হলো – আম্বাত,ফুসকুড়ি,সর্দি,ফুলে যাওয়া,চুলকানি,চোখ জলযুক্ত হতে পারে। অ্যানাফেল্যাকটিক শক নামক অ্যালার্জির সৃষ্টি করে ডিমের সাদা অংশ।এর ফলে,গলা ও মুখ মারাত্মক ভাবে ফুলে যায়।সাথে উপসর্গ দেখা যায় আরও।রক্তচাপ কমে যায়।কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দেখা যায়।ডিমের সাদা অংশে অনেক ভিটামিন ,খনিজ ও প্রোটিন থাকলেও এতে ফাইবার থাকে না পর্যাপ্ত।ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয়,এই ফাইবারের অভাবে।
কিডনি সমস্যা:: অবশ্যই,প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থের জন্য খুব ভালো খাওয়া।কিন্তু,ক্ষতিও করতে পারে আপনার শরীরে। অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া হলে।অতিরিক্ত প্রোটিন,ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হতে পারে বিপদজনক।কিডনিতে সমস্যা হয়,ডিমে থাকা প্রোটিনের উচ্চ জৈবিক মূল্য।
অতএব,আপনার পেট যদি সবসময় খারাপ থাকে।তবে,বেশি পরিমাণে ডিমের সাদা অংশ কিন্তু খাওয়া উচিত নয়।কুসুম তো নয়ই।
বি: দ্র: সাধারণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে,এইসব তথ্য দেওয়া হয়েছে ।যা কেবল ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য।এটি নিশ্চিন্ত করে না প্রেস কার্ড।উপরিউক্ত তথ্য ব্যবহার করার আগে অবশ্যই পরামর্শ নেবেন ডাক্তারের।