সর্বাধিক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে বিশ্বব্যপী, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। যা লক্ষ লক্ষ মানুষের কারণ একটি ।প্রবর্তিত হচ্ছে এই হাইপারটেনশন এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।২০ – ৩০ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা।রক্তচাপ যদি টানা ১২০ – ১৮০মিলিগ্রাম এর ওপর থাকে আপনার, পরামর্শ নিন অবিলম্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দের। উচ্চ রক্তচাপ এর ফলে সীমিত রক্ত প্রবাহ,স্ট্রোক ও ধমনীও সংকোচিত হতে পারে,মনোযোগ ও সঠিক যত্নের অভাবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে,আপনার খাদ্য রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে।শীতকালে,সুপরিচিত মরশুম সবজি পাওয়া যায়।যা প্রতিরোধ করে রক্তচাপ এর মাত্রা বৃদ্ধি।
দেখে নিন বিস্তারিত ভাবে। কোন কোন শীতকালীন সবজি এর গুণাবলী তে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এর ক্ষমতা ——
১) পালং শাক :: এটি লুটেইন এবং পটিশিয়াম সমৃদ্ধ।এই লুটেইন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ধমনীর গাত্র কে ঘন হতে বাধা দেয়। পালং শাকে থাকে,প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেট।যা নিশ্চিন্ত ভাবে,রক্তচাপের মাত্রা কমায়।এছাড়া এটি স্যান্ডউইচ, স্যালাড এ ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ অত্যন্ত ক্যালরি কম এই শাকে।
২) বিটমুল:: বিট মূলে থাকে ভিটামিন বি।যা স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।এছাড়া এটি কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়।এবং এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি কমায় রক্তচাপ।বোঝা যায়, ডি কে পাবলিশিং হাউসের হিলিং ফুডস বই টি থেকে।দাবি করেছে , বিট মূলে থাকে নাইট্রিক অক্সাইড ;একটি গবেষণা।এটি রক্তকে প্রসারিত এবং শিথিল করে সামরিক ভাবে রক্ত চাপ কমায়।এবং উন্নত করে রক্ত প্রবাহ কে আরও।
৩)গাজর:: ঠাসা পটাশিয়াম এ এই গাজর।যেটি আপনার ধমনীর চাপ কমায় এবং রক্ত বাহী শিরার এরও।খারাপ প্রভাব কমায় সোডিয়ামের এটি।হ্রাস করে স্ট্রোক এবং থেরোস্কেলেরোসিস কে গাজর।আপনার খাদ্যে স্টিউ বা রস হিসাবে গাজর কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৪)মেথি পাতা::বীজ ও মেথি পাতা দুটোতেই থাকে দ্রবণীয় ফাইবার।যা হ্রাস করতে সাহায্য করে কোলেস্টেলোর কমাতে । এলডিএল বিশেষ করে রক্তচাপের মাত্রা কমায়।কিন্তু এর বীজ ও পাতায় থাকে খুব কম পরিমাণে সোডিয়াম।
৫) মুলো::মুলোকে স্যালাড বা সুপে ব্যবহৃত করতে পারেন।এতে উপস্থিত পটাশিয়াম সাহায্য করে রক্তচাপ পরিচালনা করতে।