Friday, April 26, 2024
spot_img
spot_img
HomeUncategorizedআপনার কি গর্ভবতী তাহলে জেনে নিন কিভাবে হবে  আপনার সন্তানের জন্ম নর্মাল...

আপনার কি গর্ভবতী তাহলে জেনে নিন কিভাবে হবে  আপনার সন্তানের জন্ম নর্মাল (Normal Delivery) হবে না কি সেই কাটাছেঁড়ার (Cesarean Delivery) মধ্যে দিয়েই যেতে হবে আপনাকেও?

যাঁরা মা হতে চান তাঁদের কাছে মাতৃত্ব এক স্বর্গীয় অনুভূতি। প্রেগন্যান্সি (Pregnancy) টেস্ট ইতিবাচক হলেই শুরু হয় প্রহর গোনার পালা। মা হওয়ার অনুভূতি উষ্ণ চাদরের মতো আগলে রাখে। প্রেগন্যান্সি গ্লো-তে চকচক করে চোখ মুখ। চিন্তা (Normal Or Cesarean Delivery) শুধু একটা বিষয় নিয়েই,ডেলিভারি কীভাবে হবে।১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে একটা শিশু জন্ম নেয়।
নির্দিষ্ট তারিখের আগে এই সিদ্ধান্ত মাকেই নিতে হবে। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আগে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মা হওয়া প্রতিটি মেয়ের কাছে গর্বের।নর্মাল এবং সিজার, ডেলিভারির (Normal Or Cesarean Delivery) এই দু’টি বিকল্পেরই কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে। এখানে সেই নিয়ে আলোচনা করা হল। মা এবং শিশুর জন্য কোনটা (Normal Or Cesarean Delivery) সেরা হবে সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক –

https://amzn.to/3iDfs3Z

নর্মাল ডেলিভারি: সন্তান জন্ম দেওয়ার এই উপায়টি (Normal Delivery) সব থেকে নিরাপদ। ঝুঁকি একদমই নেই বললেই চলে। প্রাচীন যুগ থেকেই এই পদ্ধতিতে মেয়েরা মা হয়ে এসেছে। বিজ্ঞান বলে, নর্মাল ডেলিভারি হলে পরবর্তী সন্তান ধারনের সময় কোন অসুবিধা হয়না। এই ধরনের ডেলিভারিতে কোনওরকম কাটা ছেঁড়া করা হয় না। অ্যানেস্থেশিয়াও দেওয়া হয় না। যে কোনও হাসপাতালে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমনকী বাড়িতেই নর্মাল ডেলিভারি করানো যায়।

অধিকাংশ মহিলা নর্মাল ডেলিভারিই পছন্দ করেন। কারণ শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের শরীর এবং সন্তানের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করার এটাই সবচেয়ে প্রাকৃতিক উপায়। তাই বহু কষ্ট সহ্য করেও তারা নর্মাল ডেলিভারি করাতে চায়। অনেকে শরীরে ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ নিতে স্বচ্ছন্দ নন, তাই এই পদ্ধতিই তাঁরা পছন্দ করেন। তবে এটা কষ্টকর। এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে অনেক ঘাম বের হয়। অ্যামনিওটিক তরল, রক্ত এবং বাচ্চার জন্মের পর প্লাসেন্টা বা নাড়ি বের হয়। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে ভ্যাজাইনাল ইনজুরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এই ইনজুরি এত বেশি হয় যে সেলাই করতে হয়।

সিজারিয়ান ডেলিভারি: সিজারিয়ানের (Cesarean Delivery) প্রধান সুবিধা হল মা-কে প্রসব বেদনা সহ্য করতে হয়না। তাছাড়া ভ্যাজাইনাল ইনজুরি ও অত্যাধিক রক্তক্ষরণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্যদিকে এখানে মায়েদের অসুবিধাও হল পরবর্তীতে সন্তান ধারণের সময় এক্টোপিক বা টিউবাল প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্লাসেন্টা অ্যাক্রিটা এবং প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশনের মতো সমস্যার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বাচ্চার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।

তবে কোন পদ্ধতিটা (Normal Or Cesarean Delivery) মায়ের জন্য সঠিক হবে সেটা কিছু মেডিক্যাল চেক আপের পর চিকিৎসকরাই বলে দেবেন। কখনও কখনও প্রকৃতি ভিন্ন পরিকল্পনা করে রাখে। আসল বিষয় হল মা এবং শিশুর সুস্থ থাকা। শেষ পর্যন্ত এটা মায়ের শরীর। তাই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মায়ের সহজাত প্রবৃত্তির উপর বিশ্বাস রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি ও আপনার সন্তান কিসে সুস্থ থাকবে তা ডাক্তার সবথেকে ভালো বলতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments