পিসি নিউজ বাংলা:- অনেক আশা আর দু’চোখে জীবনের উন্নতির স্বপ্ন নিয়ে প্রতিবছর কয়েক হাজার পড়ুয়া ভর্তি হন ভারত বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। কিন্ত এখানে পড়তে গেলে ইংরেজি ভাষায় পড়তে হবে। এরফলে যেসব পড়ুয়া ছোট থেকে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছে বা গ্রামে পড়াশোনা করেছে তাদের বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে প্রথম সেমিস্টারে ভালো ফল করলেও পরবর্তী সেমিস্টারে তারা ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। এমনই ভাষা বিভ্রান্ত দেখা যাচ্ছে রাজ্যের এবং দেশের প্রথম শ্রেণির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে ইংরেজিতে। এমনকী, বিভিন্ন বিষয়ে নোটসও ইংরেজিতে। এই অবস্থায় গ্রাম বাংলা থেকে উঠে আসা বা বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পড়ে বড় হওয়া মেধাবী পড়ুয়ারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও দেখা যাচ্ছে তাঁরা তা টানতে পারছেন না শুধুমাত্র ভাষা বিভ্রাটের কারণে।
এরফলে কার্যত অসহায়ের মতো স্বেচ্ছায় এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে তাঁদের। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়া প্রায় সব পড়ুয়ার অভিযোগ, এই ভাষা বিভ্রাটের বিষয়টি তাঁরা ক্লাসের মধ্যে ও ক্লাসের বাইরে অধ্যাপককে জানালেও কোনও ফল হয়নি। বরং তাঁদের সমস্যা নিয়ে ক্লাসের ছেলেমেয়েরা এমনকী, অধ্যাপকেরা পর্যন্ত হাসাহাসি করেছেন। কোনও কোনও অধ্যাপক তো রীতিমত তাঁদের মুখের ওপর জনিয়ে দেন, ‘এখানে পড়তে হলে ইংরেজি জানতে হবে। না-হলে চলে যাও।’ এই পরিস্থিতিতে যাদবপুরছুট পড়ুয়াদের অসহায় আর্তি, ‘আমাদের শিখিয়ে নেওয়াই শিক্ষকদের কাজ ছিল। কিন্তু তার বদলে ওঁরা কেবল ইংরেজির কথাই বলে গেলেন, কিন্ত শেখালেন না।’
Jadavpur University যাদবপুরে ভাষা বিভ্রাটের জের, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছেন পড়ুয়ারা।
MORE NEWS – পুলিশের মেসের খাবার নিম্নমানের, তদন্তের দাবি প্রতাপ চুনারির।
পুলিসের মেসের খাবার পছন্দ হয়নি বলে প্রকাশ্য রাস্তায় এসে কেঁদে ভাসাচ্ছেন এক পুলিস কনস্টেবল, উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় এমনই ঘটনা ঘটে, আর এমন বিরল দৃশ্য দেখতে রাস্তায় রীতিমতো ভিড়ও জমে যায়, ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, খাবারের গুণ ও মান অত্যন্ত নিম্নমানের, পশুদের খাবার যোগ্য নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কনস্টেবল মনোজ কুমার হাতে থালা নিয়ে রাস্তায়। থালায় রয়েছে রুটি, ডাল এবং ভাত। CONTINUE READING