গ্রীষ্মের খরতাপে আখের রসে চুমুক দিলেই তৃপ্তি। প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শুধু তেষ্টা মেটাতেই নয়, আখে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টঅক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ নির্মূল করে শরীরকে ভেতর থেকে ঝরঝরে করে।
চলুন জেনে নেয়া যাক উপকারী এই পানীয়র কিছু উপকারিতা –
1.পুষ্টি – শুধু স্বাদে নয় এই পানীয় পুষ্টি গুনেও ভরপুর। যে পুষ্টি আপনার শরীরের পক্ষে উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে আখের রস। 2.শক্তি বৃদ্ধি করে – গরমে ঘাম বেশী হয়, ফলে শরীর থেকে জল নির্গত হয় আর এর ফলে জলের ঘাটতি দেখা যায়। শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট আছে যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
3.প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় – নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রজননে নানা সমস্যা দেখা দেয়।এধরনের সমস্যাতে আখের রস খুব উপকারী।বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে আখের রস বেশ উপযোগী। মহিলাদের নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে সন্তান প্রসবেও সহায়তা করে আখের রস।
4.ত্বক পরিচর্যা – ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় আখের রস অন্যতম সহায়ক উপাদান।আখের রসে থাকে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, ব্রণর সমস্যা দূর করে, ত্বক ভালো রাখে।খুশকি কমাতে এটি খুব উপকারী।
5.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – আখের রসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে আখের রস পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
হাইপোগ্লাইসিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যেও এই রস উপকারী। তবে কী পরিমাণে আখের রস খাবেন, তা কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসদের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খাওয়া ভাল।আপনিও পেতে পারেন এই উপকারগুলি যদি মেনে নেন বিশেষজ্ঞদের মতামত।