পিসি নিউজ বাংলা : প্রয়াগরাজের খেভরাজপুর গ্রামে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের শিকার হতে হল মাত্র দু’বছরের শিশুকন্যাকেও। এক সপ্তাহের মধ্যে এই ধরনের দ্বিতীয় ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যায়,পাথর দিয়ে থেতলে পাঁচজনকে খুন করা হয়েছে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ঘরের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশের একটি দল। পৌঁছে গিয়েছে ফরেনসিক টিমও। ইতিমধ্যেই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।আততায়ী কে বা কারা তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, পাথর ও ইট দিয়ে আঘাত করে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনটাও সন্দেহ করা হচ্ছে, মহিলাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধর্ষণ করতে পারে দুষ্কৃতীরা।
প্রয়াগরাজের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) অজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃতরা হল রাজকুমার যাদব (৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম (৫০), তাঁদের মেয়ে মনীশা (২৫), রাজকুমারের শ্যালিকা সবিতা (৩০), রাজকুমারের নাতনি মীনাক্ষী (২)। ৫ বছরে আর এক নাতনি সাক্ষীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে নবাবগঞ্জ থানা এলাকার খাগলপুর গ্রামে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের তিন মেয়ের রহস্যমৃত্যুর খবর মেলে।
ওই ঘটনায় ৪২ বছর বয়সী গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বারান্দা থেকে। ঘরের ভিতরে পড়েছিল তাঁর ৩৮ বছরের স্ত্রী ও ১৪, ১০ ও ৮ বছরের তিন মেয়ের নলিকাটা দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল, গৃহকর্তাই স্ত্রী ও তিন কন্যাকে ধারাল কিছু দিয়ে নলি কেটে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন।
ওই ঘটনার সাতদিন পরই খেবরাজপুরে আবার একই পরিবারের পাঁচজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে সন্দেহ দানা বেঁধেছে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের মনে।
