হোলি উৎসব সামনেই।দুর্লভ সেই দিনের আনন্দের জন্য, দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলি এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি।কারণ গত দু বছর ধরে, হোলির মতো এই আনন্দপূর্ণ উৎসবে পড়েছিল ভাটার রেশ, কোভিড এর জন্য কিন্তু এ বছর,উৎসবের আনন্দে আত্মহারা হওয়ার পরিকল্পনা করে দিয়েছে সবাই শুরু,করোনা এর সংখ্যা নিম্নগামী হওয়ায়।প্রসঙ্গত,রাজ্য পর্যটন বিভাগ আগামী ১২ – ১৪ মার্চ ।তিন দিন ধরে এক ব্রজ হোলি মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে,রাজস্থানের হোলি উৎসব উপলক্ষ্যে।খবর অনুযায়ী,রাজস্থানের ভরত পুর , কামান ও দিগে;এই মহোৎসব পালন করা হবে। নিশান্ত জৈন,পর্যটন বিভাগ এর পরিচালক বলেছিলেন,যে পূর্বাংশ ,ব্রজের সারাংশে আচ্ছন্ন। তা বার্ষিক ব্রজ হোলি উৎসব এর উদযাপন করে,রাজস্থানের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে। এটি স্থানীয় খেলাধুলা থেকে শুরু করে,সঙ্গীত ও লোকনৃত্য সব বয়সের দর্শকদের ,ব্রজের রঙে মুগ্ধ করবে সবাইকে। তিনি আরও জানান,অনুষ্ঠিত হবে কাবাডি এবং খোখো এর মতো জনপ্রিয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, লোহাগর স্টেডিয়ামে।মেহেন্দি ও রঙ্গোলি তৈরি করা,পাগড়ি বাধা , গোঁফ প্রদর্শনী এইসব খেলা হবে শুরু হবে হোলি উপলক্ষ্যে,ভরত পুর থেকে। ঐ একই দিনেই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও মেগা নাইট এর আয়োজন হয়েছে করা। যেখানে অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে রাখবে, প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী এর মত শিল্পী শাহ,তার সুরেলা কণ্ঠে। ট্যুরিজম ডিরেক্টর জানান, ভিগ এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে উৎসবের দ্বিতীয় দিনে। যেখানে শুরু হবে জনপ্রিয় কিছু স্থানীয় খেলা দিয়ে, যেমন – কাবাডি, দড়ি টানা ইত্যাদি দিয়ে। এছাড়া রয়েছে, মেহেন্দি ও রঙ্গলি তৈরীর প্রতিযোগিতা। পাশাপাশি পাগড়ি বাধা, গোঁফ প্রদর্শনী এবং রঙিন ফোয়ারার অসাধারণ স এর ব্যবস্থা হয়েছে করা।দেখা যাবে সুপরিচিত কথক নৃত্যশিল্পী মঞ্জরী চতুর্বেদি কে এবং রাজস্থানের লোক শিল্পীদের পারফরম্যান্স ।অনুষ্ঠানের শেষ দিনে,বিভিন্ন মন্দিরে লাঠমার হোলি,দুধ দোহি হোলি,লাড্ডু হোলি ,গুলাল হোলি কামান শহরে আয়োজন হয়েছে।এছাড়া অন্যতম আকর্ষণ হলো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা রাজস্থানী লোক শিল্পীদের। যা পর্যটকদের কাছে নতুনত্ব হবে আরো। হোলির সঙ্গে থাকবে আরো ব্রজ রসিয়া গান ও কৃষ্ণ ভজন সন্ধ্যার হয়েছে করা আয়োজন। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এইসব দিয়েই উৎসবের সমাপ্তি হবে।
- Advertisment -