পিসি নিউজ বাংলা : পুলিশি জেরায় অবশেষে মুখ খুলতে বাধ্য হল বহরমপুরের কলেজপড়ুয়া সুতপা চৌধুরী খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। মঙ্গলবার আদালত তাকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছিল সুশান্ত। এমনকী, স্নান খাওয়া-দাওয়া সবই প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু লাগাতার পুলিশি জেরায় শেষমেষ গুমড়ে থাকা ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। বেরিয়ে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কয়েকশো কিলোমিটার দূরে থেকেও সে সুতপার ওপর কীভাবে নজরদারি চালাত তা তদন্তকারীদের জানিয়েছে সুশান্ত।
মালদহের ইংরেজবাজারের বাড়ি থেকে বা পটনায় বসে সকলের অলক্ষ্যে খুনের আগের দিন পর্যন্ত সুতপাকে ‘ট্র্যাক’ করেছে সে। প্রতিদিন সুতপার খবর পেতে তাঁরই এক বান্ধবীকে ‘সোর্স’ হিসাবে ব্যবহার করত সুশান্ত।
জেরায় সুশান্ত পুলিশকে আরও জানিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে সেই ‘সোর্স’ মারফত সে খবর পায়, সুতপা তাঁর নতুন প্রেমিকের সঙ্গে বার কয়েক শপিংয়ে গিয়েছেন। এমনকী, ‘নতুন প্রেমিক’-এর সঙ্গে সুতপা সিনেমাও দেখতে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, জেরার সময় যখন সুশান্ত এ সব কথা বলছে, তখন তার শরীরী ভাষায় সুতপা সম্পর্কে ঘৃণা এবং প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে। জেরায় সুশান্ত বলেছে, ‘‘ওর সঙ্গে এত মাখামাখি আর আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। ও মরেছে এটা কনফার্ম তো?”
অর্থাৎ প্রতিহিংসার জেরে সুশান্তই যে সুতপাকে খুন করেছে, সে বিষয়ে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত। কারণ, তার বড় প্রমাণ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। এছাড়া রয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।