পিসি নিউজ বাংলা : এস এস রাজামৌলী পরিচালিত ‘আরআরআর’ ছবিটি বক্স অফিসে মুক্তির প্রথম দিন থেকেই অপ্রতিরোধ্য । রাম চরণ, জুনিয়ার এনটিআর অভিনীত এই ছবি সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় ২০১৭ সাল থেকে বক্স অফিসের কালেকশনের নিরিখে সেরা সিনেমার জায়গা করে নিয়েছিল এস এস রাজামৌলীর ছবি ‘বাহুবলী ২’। কিন্ত ২০২২ সালে অতিমারি কালে সেই রেকর্ড ভাঙল সেই রাজামৌলী। তবে তাঁর অন্য ছবি ‘আরআরআর’।
মুক্তির পর থেকেই ‘আরআরআর’ দারুণ ব্যবসা করছে বক্সঅফিসে। ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার একদিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ২২৩ কোটির ব্যবসা করল ‘আরআরআর’। আর পাঁচদিনে ৬০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেছে এই ছবি। যা সত্যিই অভাবনীয়। এই ছবিতে দর্শকদের কাছে আরও একটি আকর্ষণ হল রামচরণের আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। তাঁর চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে এমন ব্যক্তিত্ব ও শারীরিক গঠন তৈরি করা নেহাত সহজ কাজ ছিল না। এই ছবি দেখার পর অনেকেই রীতিমত অবাক হয়েছেন রামচরণের শারীরিক গঠন দেখে। প্রশংসাও করেছেন সবাই। জানা গিয়েছে, এই প্রশংসা পেতে তাঁকে দীর্ঘ সাধনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেতা রামচরণের ফিটনেস ট্রেনার রাকেশ উদয়িয়ার।
জানা যায়, রাকেশ মূলত একজন সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার। আমির খান, ভিকি কৌশল, দিয়া মির্জা, সঙ্গীতা বিজলানি, আরবাজ খান প্রমুখ তারকাদেরও ট্রেনিং দিয়েছেন তিনি। এবার
রামচরণকে ট্রেনিং দিয়ে তাঁর লুক বদলে দিলেন রাকেশ। রামচরণের ফিটনেস বিষয়ে তাঁর ট্রেনার জানান, ২০১৯ সালে এই ছবির চরিত্র অনুযায়ী সঠিকভাবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য এসএস রাজামৌলী ও রামচরণের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। এই ছবিতে একটি দৃশ্যে রামচরণকে তীর ধনুক নিয়ে লড়াই করতে দেখা যাবে। সেই মত নিজেকে গড়ে তুলতে ৩-৪ মাস সময় লেগেছিল অভিনেতার। কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল রামচরণকে। তবে অনুশীলন চলাকালীন করোনার জেরে লকডাউন জারি হয়ে যায়। শুটিংও বন্ধ করতে হয়। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, ওইসময় তাঁদের দুজনকেই আলাদা জায়গায় থাকতে হয়। রাকেশ মুম্বইতে আর রামচরণ ছিলেন হায়দরাবাদে। তবে ট্রেনিংয়ে তাঁরা ব্যাঘাত ঘটাতে দেননি। অগত্যা অনলাইনে ক্লাস করেই নিজেকে ফিট রেখেছেন অভিনেতা। সঙ্গে মেনে চলেন ডায়েট। ২ বছর ধরে ডায়েট কঠোর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কেটেছে তাঁর সময়। চলেছেন তিনি। সিনেমার শুটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত এইভাবেই নিজেকে মেনটেন করে দর্শকের সামনে নতুন লুকে হাজির হয়েছেন।