পিসি নিউজ বাংলা : তিন বছর পর অবশেষে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজেছে। সব ঠিকঠাক চললে শীঘ্রই ভোট হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সেখানে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর উপত্যকা সফর এই মুহূর্তে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম জম্মুতে পা রাখলেন তিনি। এদিন জম্মু কাশ্মীরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কুড়ি হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করলেন।
প্রথমেই বললেন, ‘আমি আজ উন্নয়নের বার্তা নিয়ে এসেছি।’ ঘোষণা করলেন একের পর এক প্রকল্প। যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো বানিহাল–কাজিগুন্ড সুরঙ্গ নির্মাণ। খরচ পড়বে ৩,১০০ কোটি টাকা। এদিন প্রধানমন্ত্রী কিস্তওয়ারে দু’টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। একটি ৮৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। খরচ হবে ৫,৩০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয়টি ৫৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। খরচ হবে ৪,৫০০ কোটি টাকা।
সভায় দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী পূর্বতন সরকারের সঙ্গে মোদি সরকারের তুলনা টানলেন। তিনি জানান, গত ২-৩ বছরে জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক মাইলস্টোন তৈরি হয়েছে। কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগের নিশানায় রাখেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ২ শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপিকে।প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, আগের সরকার জম্মু-কাশ্মীরে কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণ করতেন না। কিন্তু বিজেপি সরকার সেই কাজ শুরু করেছে।
২০১৮ সালে বিজেপি আর মেহবুবা মুফতির পিডিপি–র জোট ভেঙে যায়। সেই থেকে জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি। তিন বছর আগে সেখানে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হয়েছে। তার ফলে কী কী সুবিধা হয়েছে, এদিন তাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই বছরের পঞ্চায়েতি রাজ দিবস জম্মু ও কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে। যা বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত করছে।