মানবদেহের ঘাড়ের কাছে অবস্থিত থাইরয়েড নামক একটি গ্রন্থি। যা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক হরমোন ক্ষরিত হয়।একাধিক রোগের উপসর্গ চিনতে ,রোগী যেটুকু দেরী করে ফেলে তাতেই,অনেকটা গুরুত্বপূর্ন সময় রোগী হারিয়ে ফেলতে পারেন।চোখের ওপরেও পরে তার প্রভাব। বিশেষজ্ঞ দের মতে,এটি “” অটো ইমউন ডিজিজ “” এক ধরনের।যার অর্থ হলো,শরীরে আমাদের যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকে,শরীরের সব অংশেই এটি একই রকম সব সময় আচরণ করে না।এমন হয় অনেক সময়,ভুল করে প্রতিরোধক ক্ষমতা কে দেহের কোনো অংশে গড়ে তোলার চেষ্টা করে।সেই সমস্যা হয়, থাইরয়েডের সমস্যার ক্ষেত্রে।যা চোখে এবং তার আশেপাশের পেশীর ওপর প্রভাব পড়ে।তখন, চিনতে ভুল করে ফেলে চোখের আশেপাশের পেশী গুলোকে।ফলে,সেই পেশীগুলোই ক্ষতি করে।যেগুলির হয়ে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা লড়ার দরকার। যার জেরে,প্রদাহ হয় চোখ ও তার পার্শ্ববর্তী নমনীয় পেশীতে।তখন নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়,প্রদাহের কারণে।বাইরে থেকে দেখলে,অনেক সময় মনে হয়,চোখের অক্ষিগোলক যেন ঠিকরে আসবে বেরিয়ে ।এছাড়াও,চোখের ব্যথা এবং দৈত্য দৃষ্টি, রক্তবর্ণ চোখ, অতিরিক্ত জল পড়া অথবা একেবারে শুষ্ক হয়ে যায় এই রোগে।এমনকি,এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে,রোগী দৃষ্টিশক্তি হীন হতে পারে।তাই,নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন,যারা থাইরয়েড এর সমস্যায় ভোগেন।নিয়মিত পরামর্শ নিলে,আগেই ধরা পড়ে যেতে পারে।সমস্যা আরও গভীর হওয়ার আগেই।এমঞ্জ কোনো মানুষ,যারা থাইরয়েড এর সমস্যায় আক্রান্ত।তারা যদি অনুভব করেন,চোখ ফুলে যাচ্ছে তাহলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।দেরি না করে।
- Advertisment -