সূত্রের খবর, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ১০০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ICC T20 World Cup)। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকছে।
বোর্ড সূত্রে দাবি, বিশ্বকাপের ম্যাচে ১০০% দর্শক প্রবেশ করার অনুমতি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পেয়ে যাবে বিসিসিআই (BCCI)। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE) ও ওমান (Oman) সরকারের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে আলোচনায় গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। ইতিমধ্যেই মরুদেশে আয়োজিত হওয়া আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচগুলোতে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক রেখেই খেলা চলছে। শারজা, আবুধাবি এবং দুবাইয়ে ৩০% দর্শক নিয়ে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) জানিয়েছেন, আইপিএলের নকআউট পর্বে ১০০% দর্শক প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-ওমানে আয়োজিত হওয়া বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। করোনার কারণে ভারতের বদলে মরুদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বিসিসিআই। বোর্ড কর্তারা ইতিমধ্যেই আইসিসি, স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে বিশ্বকাপ আয়োজন এবং দর্শক প্রবেশের বিষয় নিয়ে। বোর্ডের কাছে স্বস্তির খবর, আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন করে সাফল্য এসেছে। নকআউটে দর্শক সংখ্যা আরও বাড়িয়ে বিশ্বকাপের জন্য মহড়াও হয়ে যাবে।
করোনার কারণে গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আয়োজিত আইপিএলে দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না। চলতি বছর আইপিএলের প্রথম পর্ব যখন ভারতে হয়েছিল তখনও দর্শক প্রবেশের কোনো অনুমতি ছিল। তবে আইপিএলে দ্বিতীয় পর্বে মরুদেশে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েছে। তাই নির্দিষ্ট কিছু বিধি মেনে আইপিএলে দ্বিতীয় পর্বে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকার।
দুবাইতে আইপিএলে খেলা দেখার জন্য করোনার ভ্যাকসিনেশনের দুটো ডোজ নেওয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে ছাড়পত্র মিলছে। শারজায় ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে একটি ডোজ নেওয়া হলেই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে । সাথে থাকতে হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআর রিপোর্টও। ১৫ বছর পর্যন্ত দর্শকদের ক্ষেত্রে কোভিড ভ্যাকসিনেশন ছাড়াই আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।