ঘরের মাঠে গুজরাটের কাছে হার, প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ নাইটদের। ঘরের মাঠে আবার হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এ বার হার গুজরাত টাইটান্সের কাছে। আমদাবাদে হারের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। ইডেনে তেমন ভয়ঙ্কর সুন্দর পারফরম্যান্স করতে পারলেন না কেউ। বরং নাইটদের পারফরম্যান্স হল যথেষ্ট সাদামাটা। ফলে সহজেই জিতলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। কলকাতা হারল ৭ উইকেটে।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে।
দলগত ২৩ রানের মাথায় জগদীশন আউট হওয়ার পর ফর্মে থাকা ভেঙ্কটেশ, রানাকে ছেড়ে কী ভেবে শার্দূল ঠাকুরকে ব্যাট করতে পাঠাল নাইট ম্যানেজমেন্ট সেটা তাঁরাই জানেন। শার্দূল ৪ বলে করলেন শূন্য। আর খেলার গতি বদলে গেল। গুরবাজ একদিকে একার হাতে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে ভেঙ্কি, রানাদের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটাররা শুধুই বল নষ্ট করে চলেছেন। ভেঙ্কটেশ ১৪ বলে ১১, রানা ৩ বলে ৪, এমনকী রিঙ্কু সিংও (২০ বলে ১৯) এদিন রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ফলে গুরবাজের দুর্ধর্ষ ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংসের পরও একটা সময় মনে হচ্ছিল নাইটরা হয়তো ১৮০ রানেও পৌঁছাতে পারবে না। সেখান থেকে শেষ দিকে রাসেল ১৯ বলে ৩৫ রান করে খানিক সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন কেকেআরকে।
এই রান নিয়ে জিততে হলে শুরু থেকেই চাপে রাখতে হত গুজরাট ব্যাটারদের। যেটা হল না। গিল-ঋদ্ধিরা শুরুটা ভাল করলেন। ঋদ্ধি আউট হওয়ার পর হার্দিক এসেও রানের গতি বিশেষ কমতে দিলেন না। আর প্রাক্তন নাইট গিল এদিনও ৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে গেলেন। গিল-হার্দিকরা আউট হওয়ার পর খানিক চাপ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন কেকেআর স্পিনাররা। কিন্তু সেটা সামান্য দু-এক ওভারের জন্য। ১৫ ওভারের পর থেকেই কেকেআর স্পিনাররা মার খাওয়া শুরু করলেন। ঠিক এই সময়ই মিলারের মোক্ষম ক্যাচটি ফেলেন সুয়শ। ওই ক্যাচটি ধরা পড়লে হয়তো খেলার গতি ঘুরতেও পারত। সেটা হল না। ম্যাচ শেষ হয়ে গেল ১৮ ওভারেই। বিজয় শংকর ৫১ এবং মিলার ৩২ রান করলেন।
এই বিরাট হারের ফলে কেকেআরের (KKR) প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তাই কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই মরশুমে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন না দেখাই ভাল। আপাতত নাইটরা ৯ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে।