পিসি নিউজ বাংলা : এবার তমলুক সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দু অনুগামীদের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধুমাত্র কোনও জেলার নেতা নন। তাঁকে না জানিয়েই বিভিন্ন জেলার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। আর তাই জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে ৪২ জন মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে পুরোনো মণ্ডল সভাপতিরা বাদ পড়েছেন। জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হওয়ার পরই দলের অভ্যন্তরে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর, রবিবার তাঁর অধিকাংশ অনুগামী মণ্ডল সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সংঘাত আরও প্রকট হল। তারপরই নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব দাস গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান।বিরোধী দলনেতার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার খবর চাউর হতেই জল্পনা শুরু হয়। কারণ, সম্প্রতি বিজেপির একাধিক নেতা দলবদলের আগে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন। ফলে শুভেন্দুর ক্ষেত্রেও তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল জল্পনা উড়িয়ে সোমবার জানিয়েছে, সাংগঠনিকভাবে রাজ্য বিজেপির একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও তাঁর একটি নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। বিধায়কদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ওই গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছে। এই সব ক’টি গ্রুপেই সক্রিয় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের আরও বক্তব্য, তাঁর মতো রাজ্যের ব্যস্ততম রাজনীতিকের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকা সম্ভব নয়। তাই তিনি সেই সব ‘অপ্রয়োজনীয়’ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। এ নিয়ে কোনও ভিত্তিহীন বিতর্ক বা জল্পনা তৈরি করা ঠিক নয়।এদিকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, এসব ভুয়ো খবর। তিনি কোনও গ্রুপ ত্যাগ করেননি।