পিসি নিউজ বাংলা : সিএনজি চালিত বেসরকারি এসি বাস। পেট্রল-ডিজেলের বদলে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত বাস। এতে যে শুধু বাস চালনার খরচ কম তাই নয়, এই বাস পরিবেশবান্ধব। এবার সেই বাস ছুটে চলবে কলকাতার রাস্তায়। জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের রাস্তায় এই ধরণের বাস চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের একটি সংস্থাকে ১৮টি এই ধরণের বাসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।স্যাসি বানাচ্ছে ‘আইচার’ সংস্থা আর বডি বানাচ্ছে ‘অডি’ সংস্থা। সব দিক ঠিক থাকলে এপ্রিলের শেষে অন্তত ৫টি সিএনজি চালিত বাস শহরের রাস্তায় নামতে পারে। ১৯ এপ্রিল ইনডোর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বাসগুলি।
বাস মালিকদের সূত্রে খবর, পেট্রল- ডিজেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। এদিকে বাস ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারেও সায় নেই পরিবহণ দফতরের। সেকারণেই বিকল্প হিসাবে সিএনজি চালিত বাস আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি বাসের দাম প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। আপাতত উল্টোডাঙা থেকে সাপুরজি পর্যন্ত এই বাস পরিষেবা মিলবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাস মালিকদের একাংশের দাবি, যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে তাতে বাস নামানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিটি বাসের ভিতর থাকছে সিসি ক্যামেরা। ৩২ জন যাত্রী বসতে পারবেন।একটি সিটের থেকে আরেকটি সিটের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য থাকছে। ফলে যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে বসতে পারবেন। অনেক বাসেই পা রাখার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, অর্থাৎ লেগ-স্পেস কম থাকে, কিন্তু এই বাসে লেগ-স্পেস যথেষ্ট! ওই রুটে সর্বনিম্ন ২০টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ভাড়া হবে।প্রতিটি বাসে ১৬.২ কেজি করে চারটি গ্যাসের ট্যাংক থাকছে। প্রতি কেজিতে বাস চলবে ৫-৫.৫ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটার যেতে ১৫০০টাকার গ্যাস লাগবে। কিন্তু ওই রাস্তা যেতে ২৫০০ টাকার ডিজেল লাগবে। অতএব এই বাসে অনেক সাশ্রয় বলেই মনে করছেন বাস মালিকরা।
আপাতত সীমিত সংখ্যক এসি সিএনজি বাস চালানো হবে। এরপর পরিবহণ দফতর ছাড়পত্র দিলে এই বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে ধাপে ধাপে।
সিটি সুবারবার্ন বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা জানান, ‘পরিবহণ মন্ত্রীর সদর্থক ভূমিকাকে স্বাগত জানাই।পরিবহণ দফতর উল্টোডাঙ্গার ১৫ নম্বর সরকারি বাস স্ট্যান্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। যাত্রীরা সেখান থেকেই এই বাস ধরতে পারবেন।’