Wednesday, April 24, 2024
spot_img
spot_img
HomeUncategorizedডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব খাবার খাওয়া আবশ্যক

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব খাবার খাওয়া আবশ্যক

পিসি নিউজ বাংলা : ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাবারের বিষয়ে হাজারো বাধা নিষেধ মানতে হয়। বিশেষ করে চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবারের বিষয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয় তাদের। সাধারণত অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা জাতীয় জিনিস খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার দীর্ঘক্ষন কোন খাবার না খেলেও ব্লাড সুগার কমে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের যে সব খবর প্রতিদিনের মেনুতে থাকা উচিত সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য জেনে নিন-

লাল চাল-
ডায়াবেটিকসের রোগীদের হোল গ্রেইন খেতে বলা হয়। এতে অনেকেই সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খেয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে আধা কাপ ভাতের সঙ্গে সবজি ও ডাল খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ভাত খেলে ব্লাড সুগার বাড়াবে।

কফি-
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফি ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কমায়। কিন্তু কফিতে যদি সুইটনার, ক্রিমার ও বিভিন্ন ফ্লেভারিং যোগ করা হয়, তাহলে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে। যেকোনো রকমের কফি পান করার পর ব্লাড গ্লুকোজ মেপে দেখুন, তবেই বুঝতে পারবেন তা শরীরে কতটা প্রভাব ফেলছে।

চাইনিজ খাবার-
চাইনিজ খাবারে বেশি তেল ও লবণের পাশাপাশি প্রচুর চিনিও থাকে। সাধারণ ফ্রায়েড রাইস, স্যুপ বা সবজিতেও চিনি থাকে। এ কারণে এই ধরণের খাবারগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত্‍।

বাঁধাকপি –
পুষ্টিকর খাবার গুলির মধ্যে গুনে বাঁধাকপির জুড়ি মেলা ভার। এটি পটাশিয়াম যুক্ত হওয়ার জন্য ধমনির রক্ত প্রবাহকে সহজ রাখে এবং এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

ইনস্ট্যান্ট ওটমিল-
ওজন কমাতে, চর্বি দূর করতে এমনকী, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ওটস বা ওটমিল খেয়ে থাকেন। ওট স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে থাকে অনেক পরিমাণের ফাইবার। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত ইনস্ট্যান্ট ওটমিলে ফ্লেভারিং এবং চিনিও থাকতে পারে। এতে নিঃসন্দেহে বাড়বে ব্লাড সুগার।

সবজি-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের জন্য পুষ্টিকর খাবারের তালিকা সবজি রাখা জরুরি। সবুজ শাক সবজি (যেমন সর্ষে শাক, মুলো শাক, পালং শাক ইত্যাদি) রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে উপকারি। রাতে রুটি আর হালকা সবজি খেতে পারেন।

কমলালেবু –
চিকিৎসকদের মতে, কোনও ব্যক্তির ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায়। কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করে। কমলালেবু ছাড়াও যেকোনও টক জাতীয় লেবু খাদ্যের তালিকায় রাখতে পারেন।

মাছ-
মাছে সাধারণত প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। একটি সুস্থ জীবনধারার জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। মাছে ওমেগা-৩ আছে এবং যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায়। মাছ বেশি করে ভেজে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

ব্রোকলি-
ডায়াবেটিস রোগীদের সপ্তাহে প্রতিদিন ব্রোকলি বয়েল করে খাওয়া উচিত। এতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এমন একটি বিশেষ যৌগ আছে যা ডায়াবেটিস এর সঙ্গে যুদ্ধ করে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব খাবার  খাওয়া আবশ্যক
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব খাবার খাওয়া আবশ্যক // Image Source : Google

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার-
দুধ, দই, পনির এ ধরণের খাবারগুলো ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর। কিন্তু এসব খাবার ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে, তার পাশাপাশি হৃদস্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে চিনি ছাড়া লো ফ্যাট দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments