পিসি নিউজ বাংলা : ক্রমশ এগিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে সবরকম আপৎকালীন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এরইমধ্যে অশনি প্রসঙ্গে সরকারকে সতর্ক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রতিবারের মতো স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বগদা এলাকায় চা-চক্র করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেইসময় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আগেও সিপিএম আমলে পশ্চিমবাংলায় ঝড়, বন্যা হলে তাতে সরকারের লোকেদের লাভ হত। এখন সেই লাভ আরও ব্যাপক আকারে হয়েছে। আমফানের সময় দেখেছি তৃণমূলের নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে। ফলে সরকারের ওপর থেকে মানুষের বিশ্বাসটাই চলে গিয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোটাই মানবিকতা। কিন্তু দেখা যায়, সরকারি টাকাও লুঠ হয়ে যায়। এর পরিবর্তন হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে ভুল করে চলে গিয়েছে। এবার যেন সেই ভুল আর না হয়, এটা দেখতে হবে।’
রবীন্দ্রনাথের একশ একষট্টিতম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নানা আয়োজনের মাঝেই নোবেল নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “একমাত্র বাঙালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে নোবেল পেয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেটা আমরা সামলে রাখতে পারিনি, যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।”
বাদ দেননি অর্জুন সিংকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে না ডাকার বিষয়টিও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে বৈঠক ডেকেছে কাদের নিয়ে ডেকেছে। কাদের ডাকা হবে তা সরকারের পক্ষ থেকে ঠিক হয়। তিনি চাইলেই তাঁকে ডাকা হবে এমনটা নয়।’
অন্যদিকে খড়্গপুরের আইন-শৃংখলার ব্যাপারেও সরব হন দিলীপ। সরাসরি পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘ছিনতাই, হার ছিনতাই ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। অযোগ্য পুলিশ অফিসার থাকলে এমনই হবে। বহুবার এমন হয়েছে খড়্গপুরে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করেছি। আবার আন্দোলন করব। খুব তাড়াতাড়ি থানা ঘেরাও করব। আমি আশা করি এখানকার পুলিশ অফিসার যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।”