রবিবার, বীরভূম জেলার সিউড়ি থানার অন্তর্গত জনিদপুর এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে ছিল। সিউড়ির চাইল্ড লাইনের সদস্য ও প্রশাসনের লোকজন খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে সেই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করেন। বিয়ে আটকাতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা চাইল্ড লাইন সদস্যদের উপর চড়াও হয় ও তাঁদের অত্যন্ত হেনস্থা করে বলে জানা গিয়েছে। কোনওমতেই মেয়ের বিয়ে আটকাতে দেবেন না বলে দাবি করেন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। এই নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল ।
অভিযোগ, ওই নাবালিকার পরিবার তাঁদের মারধর ও অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার এবং হেনস্থা করেন। কোনওমতে সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান চাইল্ড লাইনের সদস্য ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে সিউড়ি থানার পুলিস খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে চাইল্ড লাইন সদস্যদের উদ্ধার করেন। আটকাতে পারেননি নাবালিকার বিয়ে। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে একটা মুচলেকা লিখিয়ে নেন সাবালক না হওয়া পর্যন্ত শ্বশুর বাড়ি যেতে পারবে না নাবালিকা, ঘটনার অত্যন্ত নিন্দা করেন এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রতাপ চুনারী, তিনি বলেন, এই ভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া একদম উচিত হয়নি মেয়ের পরিবারের সদস্যদের, এতে সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এই ঘটনায় মেয়ের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আইনত কোন ব্যবস্থা না নিলে, এদের দেখানো পথ অবলম্বন করে, অনেক মেয়ের পরিবার এই ধরনের অপরাধ করার সাহস পাবে এবং আইন নিজের হাতে তুলে দেওয়ার সাহস পাবে, মেয়ের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
নাবালিকার বিয়ে আটকাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার চাইল্ড লাইনের সদস্যরা, প্রতিবাদে প্রতাপ চুনারী।
- Advertisment -