ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করতেই উধাও ১১ লাখ টাকা, প্রতারণার শিকার বীরভূমের এক ট্যাক্সিচালক, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সব আপডেট পাওয়ার কথা বলে ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে এক গাড়িচালকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা লোপাট করে নিল হ্যাকারের দল। এমনটাই অভিযোগ বীরভূমের দুবরাজপুরের কলু পাড়ার বাসিন্দা পেশায় ট্যাক্সিচালক তপন গড়াইয়ের, সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি, তপন বাবু বলেন, এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করেন ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয় দিয়ে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ টাকা ডেবিট হয়েছে বলে জানায়, আমি তার ম্যাসেজ পেয়েছি কিনা, তাও জানতে চায়৷ সে যে হ্যাকার তা আমি বুঝতে পারিনি।” এরপরই ওই ব্যক্তি তপনবাবুর ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার কথা বলে৷ এমনটাই দাবি তপনবাবুর, জানা গিয়েছে, তপনবাবুর তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, একটি স্ত্রী পম্পা গড়াইয়ের সঙ্গে,অপরটি বাবা নারায়ণ গড়াইয়ের সঙ্গে, এছাড়াও তৃতীয় অ্যাকাউন্টটি তপনবাবুর নিজের নামেই, ফোনে কথা বলা ব্যক্তি, সত্যিই ব্যাঙ্কের কর্মী কিনা, তা যাচাই করতে তপনবাবু দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স জানতে চান।
ওই ব্যক্তি অবলীলায় অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সও বলে দেয় বলে দাবি তপনবাবুর। এরপর তাঁর মনের সন্দেহ দূর হয়ে যাওয়ায় এরপরই তপনবাবু অ্যাপ ডাউনলোড করেন, অ্যাপ ডাউনলোড করার দু’ ঘণ্টা পর থেকেই ধাপে ধাপে তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে দাবি তপনবাবুর। বাবার সঙ্গে তপনবাবুর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে সাত লাখ টাকা। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে চার লাখের বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি। ম্যাসেজ আসতেই কপালে হাত পড়ে তপনবাবুর। তিনি বলেন, “অ্যাপ ডাউনলোড করে আমার সব চলে গেল।”
এ বিষয়ে সত্যের সন্ধানে হিউম্যান রাইটসের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রতাপ চুনারী বলেন, মানুষকে আরও সতর্কভাবে থাকতে হবে, যত দিন যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের প্রতারণার ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা, এর জন্য সরকার ও ব্যাংক সংস্থাগুলোকে আরো খুব ভালোভাবে সক্রিয় থাকতে হবে, ইদানিং ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল সাইডে জুয়া খেলার বিভিন্ন নামের অ্যাপসের প্রচার দেখা যাচ্ছে, সেই সমস্ত অ্যাপগুলি কোন রকম ভাবেই ডাউনলোড করা উচিত নয়, অপরিচিত অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন, আপনারা সকলেই অত্যন্ত সতর্কে থাকুন এবং সকলকে সতর্ক করুন, আর বিশেষ করে ব্যাংকে আদান-প্রদান করার ব্যাপারে যে সমস্ত অ্যাপ রয়েছে সেগুলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই জেনে ডাউনলোড করুন, ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল সাইডের প্রচার দেখে, প্লে স্টোরে গিয়ে কোন রকম কোন অ্যাপস ডাউনলোড করবেন না।