স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই শিক্ষিকা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে, মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার আরাভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক তারকনাথ দাসের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকা সঞ্চিতা কর্মকার দীর্ঘ ৫ মাস ধরে স্কুলে অনুপস্থিত, এত দিন স্কুলে না আসার কারণ দেখিয়ে ছুটির আবেদন জানাতে বলা হয় তাঁকে, আর এই কথায় উত্তেজিত হয়ে যাই সঞ্চিতা, ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাসরুমে ঢুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ, খবর পেয়ে স্কুলে হাজির হয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ, কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলেই জানান প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক তারকনাথ দাস জানান, স্কুলে মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৩০ জন, স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র ২ জন, তাঁর অভিযোগ স্কুলের শিক্ষিকা সঞ্চিতা কর্মকার দীর্ঘ ৫ মাস ল স্কুলে আসেন না।
এদিন অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানাতে বলা হয় তাঁকে, আর ঠিক তখনই মারধরের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ সত্যের সন্ধানে হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রতাপ চুনারী, তিনি বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকা মারধর করলে ছাত্র-ছাত্রীরা কি শিখবে ? এটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘৃণ্য জনক ঘটনা, এই ঘটনায় আইনি আওতায় নিয়ে আসা উচিত স্কুলের শিক্ষিকা সঞ্চিতা কর্মকার ও তার স্বামীকে, পুলিশের তরফ থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তারকনাথ দাসের, এটাও লজ্জাজনক বিষয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়, পুলিশ প্রশাসনের উচিত ছিল ঘটনাস্থলেই আসামি সঞ্চিতা কর্মকার ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা, পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে শিক্ষককে মারধর, শিক্ষকের অতিরক্ত অপমান কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর, ক্ষুব্ধ প্রতাপ চুনারী।
- Advertisment -