এস এম এস-এর মাধ্যমে চলছে এই প্রতারণা চক্র, যেখানে গ্রাহকের বিদ্যুতের লাইন কাটার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে জালিয়াতরা, একটি নম্বর দিয়ে বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য ইলেকট্রিসিটি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, একবার গ্রাহক নিজে থেকে সেই নম্বরে ফোন করলেই পড়ছেন প্রতারকদের খপ্পরে, কীভাবে যাবে আপনার টাকা ?
প্রতারকদের দেওয়া নম্বরে ফোন করলেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে ‘Quick Support’অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলছেন অপর প্রান্তের ব্যক্তি, একবার ওই অ্যাপ ডাউনলোড হলেই আপনার কাছে চলে আসবে ‘পাস কোড, এই পাস কোডের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে যাবতীয় জালিয়াতি, একবার অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে ‘পাস কোড’ দিলেই উধাও হতে পারে টাকা, কী বলছে কলকাতা পুলিশ ?
কলকাতা পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি বার্তা পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। যেখানে প্রফেসর নীলাঞ্জন কুন্ডুর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে একজন সচেতন নাগরিকের পরিচয় দিয়েছেন নীলাঞ্জনবাবু। প্রতারকরা পাস কোড দেওয়ার কথা বললেও তা দেননি তিনি। উল্টে বাড়িতে এসে ইলেকট্রিক অফিসের লোককে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে বলেন ওই প্রফেসর। যারপর অপর প্রান্তের কল এমনিতেই কেটে যায়। আগামী দিনে সকলকে এই ধরনের বার্তা থেকে সতর্ক থাকতে বলেছে কলকাতা পুলিশ, অন্যথায় বাড়বে বিপদ, এ বিষয়ে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আরও অতিরিক্ত সতর্কতা এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সত্যের সন্ধানে হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রতাপ চুনারী।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে তো সতর্ক থাকতেই হবে তার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম সংস্থাগুলি কেউ এ বিষয়ে অত্যন্ত নড়ে চড়ে বসা উচিত, পুলিশ প্রশাসন এবং টেলিকম সংস্থাগুলো যদি বিষয়টা খুব ভাল করে দেখেন তবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব এই ধরনের জালিয়াতি, তবে আপনারাও সতর্ক থাকুন এই ধরনের মেসেজ আসলে স্থানীয় পুলিশকে জানান, প্রতারকদের কথা শুনে কোনরকমে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না কাউকে কোন পাসওয়ার্ড বা পাসকোড দেবেন না, শত সতর্ক থাকুন ভালো থাকুন।