করোনার কারণে দীর্ঘদিন বাস বন্ধ থেকেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে জ্বালানির দামও। আর তারপর অনুদানের নামে লকডাউনের পর নিজেরাই ভাড়া বাড়িয়েছিল বাসমালিকরা। এক লাফে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। সাত টাকার ভাড়া করে দেওয়া হয়েছিল ১০ টাকা।
ন’টাকার ভাড়া বাড়িয়ে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ টাকা। যা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে প্রায়শই বচসা বেধে যেত কন্ডাক্টরদের। পরিবহন দপ্তরের কাছে একাধিক অভিযোগও এসেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভাড়া কমাননি মালিকরা।
আর এরপরেই তত্পর হয় পরিবহন দপ্তর। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে চলন্ত বাসে হানা দেয় মোটর ভেহিক্যালস ইন্সপেক্টর বা এমভিআইরা। প্রায় ২৫টি রুটের বাসমালিককে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে শোকজ করে পরিবহন দপ্তর। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর সোমবারও পরিবহন দপ্তরের তরফে অভিযুক্ত বাসমালিকদের হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৩সি/১, ২৪০, গড়িয়া-বিবাদি বাগ রুটের মিনিবাস, ২৫৯, ১২ সি/ওয়ান, ১২ সি, ১২-এ সহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের মালিকদের ডেকে পাঠানো হয়। ভবিষ্যতে বাড়তি ভাড়া নিলে পারমিট বাতিল করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এই প্রসঙ্গে সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘দু’তিন টাকা স্টেজপ্রতি যে বাড়ানো হয়েছে, সেটা নেওয়া হোক। কিন্তু তার থেকে বেশি নেওয়া হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।’
প্রসঙ্গত, ডিজেলের দাম বাড়ার ফলে বেসরকারি বাস সংগঠন ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুললেও নাকচ করে দেয় পরিবহন দপ্তর।