পিসি নিউজ বাংলা : অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তির রায় পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা আগে অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়ে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডি-কে। দিল্লিতে বার বার ডেকে পাঠিয়ে আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না ইডি।
কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দু’বার হাজিরাও দিয়েছেন অভিষেক। কিন্তু করোনা আবহে ছেলে ও মেয়ের কথা ভেবে মা রুজিরার পক্ষে দিল্লি গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। একথা একাধিকবার জানানো হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু সেই আবেদন কানে তোলেনি দিল্লি হাইকোর্ট। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি ইডি-র তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে তাঁকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
আজ শুনানিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আদালতে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল।
তিনি জানান, আইন অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীকে তাঁর বাসস্থানের জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি আদালতে বলেন, “আমি তদন্তে না করছি না। আমি কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলছি। এখানে দিল্লিতে আসার কথা বলা হচ্ছে।”
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ইডি অভিষেক ও রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ যেদিন করতে চাইবে তার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে হবে ওই দম্পতিকে। সেই সঙ্গে নোটিস পাঠাতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও। রাজ্য সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, জেরার সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কলকাতা পুলিশই তদন্তকারী আধিকারিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।