পিসি নিউজ বাংলা : বুধবার আইপিএল দ্বিতীয় প্লে অফের ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাটে ঝড় তুলতে নামবে আইপিএল-এর গ্রুপ পর্যায়ের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুই দল লখনউ সুপার জায়েন্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই ম্যাচে জিতলে, আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হতে হবে। তাই অনুশীলনে এতোটুকু খামতি রাখার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আধুনিক সময়ের অন্যতম সেরা আইকন। তবুও শেষ ৩৬ মাসে তার চেনা ছন্দের অনেকটাই পতন ঘটেছে। যদিও বড়ো ক্রিকেটারদের নিয়ে আগাম ভবিষ্যৎবাণী চলে না।
মাঠের চারপাশ প্রায় ছ’ফুট উচ্চতার কাপড়ে মোড়া। উঁকি-ঝুঁকি দিয়েও দেখার সম্ভাবনা নেই। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে দেওয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না সাংবাদিকদের। কোনও রকমে একটি বিল্ডিংয়ের পাঁচিলে উঠে শুরুর দিকের অনুশীলনে নজর রাখা গেল।
কিছুক্ষণ পরে হস্টেলের ছাত্ররাই দ্বার খুলে দেয়। কার্যত বলয়ের বাইরে দাঁড়িয়েই বিরাট-দর্শন করছিলেন ছাত্র-অধ্যাপকরা।
পাশের নেটে ব্যাট করা কে এল রাহুল, কুইন্টন ডি’ককদের পরিবর্তে মূল লক্ষ্য ছিল বিরাটের দিকে। বিরাট মাঠে গিয়ে অল্প স্ট্রেচিং করার পরে ব্যাট করতে চলে যান নেটে। সময় মতন তাঁর ব্যাটে যে তুফান উঠবে তা কোহলির হাবেভাবে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। আরসিবির ওপেনার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব প্রথম ছয় ওভারে যতটা সম্ভব রান বাড়িয়ে নেওয়া। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের দুই তারকা পেসারই বিরাটের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
সম্প্রতি বিরাট বাইরের বলে খোঁচা মেরে একাধিক বার আউট হয়েছেন। একই ভুল যাতে আবারও না হয়, তার জন্য কুলবন্ত খেজরোলিয়ার হাতে নতুন বল তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
নেট থেকেই দেখিয়ে দেন তাঁকে বাইরের দিকে বল করা হোক। সুইং সামলাতে স্টেপ-আউট করে বাঁ-হাতি পেসারকে খেলার চেষ্টা করেন বিরাট। যাতে বল সুইং করার আগেই শট নিতে পারেন তিনি। উল্লেখ্য, এই ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক শতরান তুলেছিলেন বিরাট।
শেষ আইপিএল সেঞ্চুরি এসেছিল এখানেই। সেই অর্থে বলা যেতেই পারে যে, ইডেন গার্ডেন্স তার পয়া মাঠ। তবে আজ বৃষ্টি হোক বা নাই হোক, কিং কোহলির ব্যাট থেকে রানের বৃষ্টি দেখার অপেক্ষায় থাকবেন শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা।