পিসি নিউজ বাংলা : মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কোন অনুষ্ঠানে সম্পন্ন হয় না। মিষ্টি মাস্ট। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবেতেই যখন পরিবর্তন এসেছে তখন মিষ্টি কেন বাদ পড়বে! তাই চিরাচরিত মিষ্টিকে নতুন ভাবে তুলে ধরতে অনেক ধরনের উপায় বাতলাচ্ছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারীরা। একঘেয়ে মিষ্টি থেকে তাই এখন ফিউশনকেই বেছে নিচ্ছেন বাঙালিরা। আর এবার ফিউশন করে নতুন ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হল বর্ধমানে।
কাপে দই, উপরে ছড়ানো লঙ্কা কুঁচি, গুঁড়ো মশলা, সেউ ভাজা। এমন জিভে জল আনা খাবার মানেই আমরা জানি সেটা দইবড়া। কিন্তু ভাবুনতো দইবড়ার জায়গায় সেটা যদি রসগোল্লা দিয়ে তৈরি হয় কেমন লাগবে? চাট রসগোল্লা। শুনে হা করে থাকার মতো ঘটনা ঘটেনি। কারণ, আপনি ঠিকই পড়েছেন।
টক রসগোল্লা, ঝাল রসগোল্লার পর এবার চাট রসগোল্লায় মন মজেছে পূর্ব বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের। বর্ধমান স্টেশনের কাছেই প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভান্ডারেই মিলছে এই চাট রসগোল্লা। দামও একেবারে সাধ্যের মধ্যেই। মাত্র ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই চাট রসগোল্লা।
জানা যায়, মুখের স্বাদ বদলাতে প্রায়ই গতানুগতিক খাবারের পরিবর্তন করেন প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার প্রমোদ কুমার সিং। রসগোল্লাকে রেখেই তার সঙ্গে দই, কাঁচা লঙ্কা, গুঁড়ো মশলা, সেউ ভাজা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে রসগোল্লার চাট। টক, ঝাল, মিষ্টির সংমিশ্রণে এই নতুন স্বাদের মিষ্টি সকলের জিভে জল আনবে বলে আশা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের।
এক ক্রেতা বলেন, “অন্যরকম মিষ্টি খেলাম এই প্রথম বার। পুরো দইবড়ার মতো দেখতে, কিন্তু মিষ্টি দিয়ে তৈরি করা। অসাধারণ ভাবনা। দারুন টেস্ট! আমি আবার আসব চাট রসগোল্লা খেতে।”