শহরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কনস্টেবলের। বৃহস্পতিবার রাতে সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, মহাত্মা গান্ধী রোড ও সেন্ট্রাল এভিনিউ ক্রসিংয়ে কর্তব্যরত ছিলেন ওই ট্রাফিক কনস্টেবল। আচমকা একটি ট্রাক পিষে দিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে ওই কনস্টেবলের। শহরের রাস্তায় রাত বাড়লেই ট্রাকের দৌরাত্ম্য নতুন নয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। তবে এ ভাবে খোদ ট্রাফিক কনস্টেবলের মর্মান্তিক মৃত্যু শহরের রাস্তায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। রাতের
রাত ৯ টা ৫৯ মিনিটে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জোড়াসাঁকো থানার ট্রাফিক কনস্টেবল শেখ মহম্মদ নাসিরুদ্দিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘাতক ট্রাকটি ডানদিকে ঘুরতে যায়। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতিতে ট্রাকটি যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে ট্রাকের চালক নেপাল যাদবকে। গাড়িটিও আটক করা হয়েছে।
ট্রাফিক কনস্টেবল শেখ মহম্মদ নাসিরুদ্দিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা। ট্রাকের ধাক্কা লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘাতক ট্রাকের চালক নেপাল যাদবও ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নেপাল যাদব নামে ওই ট্রাক চালক বিহারের মামনপুরের বাসিন্দা। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা, রাতের শহরে ট্রাফিক কনস্টেবলকে পিষে দিল বেপরোয়া ট্রাক
আর একটু হলেই ধাক্কা লাগতে যাচ্ছিল দুই বিমানের! রানওয়েতে রুদ্ধশ্বাস কাণ্ড
পুরভোটের দায়িত্ব সামলাবে ৩২ হাজার পুলিশ, কমিশনকে প্রাথমিক তথ্য দিল রাজ্য সরকার
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই চিংড়িহাটায় পরপর দুর্ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে দুর্ঘটনা কমানো যায় ও আরও ভালো ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা নিয়ে কিছু সমাধানের উপায় সম্প্রতি জানিয়েছে আইআইটি খড়গপুর। সেই রিপোর্ট হাতে নিয়েই যৌথ সমীক্ষা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশ। বুধবারই চিংড়িহাটা মোড়ে কোলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে, এসিপি ট্রাফিক ও বিধান নগর পুলিশের অফিসারদের উপস্থিতিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আর এরই মধ্যে পথ সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠল এই দুর্ঘটনায়।