Thursday, May 16, 2024
spot_img
spot_img
Homeখবরপাড়া প্রতিবেশীরা চিনতে পারলেও চিনতে পারছেনা স্ত্রী ও মেয়ে।

পাড়া প্রতিবেশীরা চিনতে পারলেও চিনতে পারছেনা স্ত্রী ও মেয়ে।

পাড়া প্রতিবেশীরা চিনতে পারলেও চিনতে পারছেনা স্ত্রী ও মেয়ে, নিজের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে জায়গা না দেওয়াই আপাতত জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী। পাড়ার মানুষজন চিনলেও চিনতে পারছেনা স্ত্রী ও মেয়ে, ঠিক এমনই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার অন্তগত সাদিপুরে, গত 23 মার্চ সুকুমার সাহা নামের এক বৃদ্ধকে জ্ঞানহীন অবস্থায় জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে যান কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।তারপর থেকে প্রায় 2 সপ্তাহ কেটে গেলেও পরিবারের কেউ ওই বৃদ্ধের খোঁজ নিতে আসেননি বলে অভিযোগ হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই বৃদ্ধের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে রয়েছেন। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও সুতি থানার পুলিস ওই বৃদ্ধের ছবি এলাকাবাসীদের দেখালে সকলেই তাঁকে চিনতে পারছেন।

কিন্তু পরিবারের লোকেরা ওই বৃদ্ধকে দেখেও চিনতে অস্বীকার করে এবং পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, তারা সুকুমারবাবুকে চেনেন না। আশেপাশের লোকেরা চিনতে পারলেও নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তান বৃদ্ধকে  চিনতে অস্বীকার করায় অবাক হয়ে যাই গ্রামবাসী সহ পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই মেরে ওই বৃদ্ধকে তাড়িয়ে দিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

নিজের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে মুখ ফেরানোয় আপাতত জঙ্গিপুর হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডের 15 নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর স্ট্রোক হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মরত চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নার্সরাই তাঁর দেখাশোনা করছেন। বৃদ্ধের নাম সুকুমার সাহা, আসল বাড়ি কলকাতার বিরাটীতে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সুতির সাদিকপুরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। পেশায় কোয়াক ডাক্তার ছিলেন, পরিবারে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েও রয়েছে।

স্ত্রী শ্যামলী সাহা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আর ছেলে নাকি চিকিৎসক। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও সুতি থানার পুলিশ ওই বৃদ্ধের ছবি এলাকাবাসীদের দেখালে সবাই তাঁকে চিনতে পারেন। শুধু চিনতে পারছেন পরিবারের সদস্যরা৷ ফলে ওই বৃদ্ধকে নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments