বৃহস্পতিবার কোভিড সংক্রান্ত যে রিপোর্ট পুরসভা থেকে নবান্নে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০ জন। এর মধ্যে ২০১ জন উপসর্গবিহীন ও ৫৯ জনের শরীরে রয়েছে করোনার উপসর্গ। এই আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ডোজ় পেয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ১৯ জন। যার মধ্যে ১২ জন উপসর্গবিহীন, ৭ জনের উপসর্গ রয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে এমন আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৩ জন, যার মধ্যে ১২০ জন উপসর্গবিহীন ও ৪৩ জনের উপসর্গ রয়েছে। ভ্যাকসিন আদৌ নেওয়া হয়নি, এমন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। ২৬০ জনের মধ্যে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ১৯ জন।
এই রিপোর্টে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আজ পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ এফ রিপোর্ট প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ে আবার বাড়ছে ভয়। পুরকর্তারাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে পুজোর মরশুমে যে ভাবে ভিড় বেড়েছে, তার জেরেই ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অতীন ঘোষ আরও জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পুজোর সময় নমুনা পরীক্ষার হার কমে গিয়েছিল। তাই আপাত দৃষ্টিতে করোনা আক্রান্তের হার কমেছে বলে মনে করা হলেও পুজো মিটতেই সামনে আসতে শুরু করেছে আসল ছবিটা। ফের বাড়ছে পজিটিভিটির হার। বুধবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৬৭। একদিনে সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত কলকাতায়। যা রীতিমতো উদ্বেগের। মোট করোনা আক্রান্তের ২৪৪ জনই ছিল কলকাতার। আর আজ সেই সংখ্যাই বেড়ে হয়েছে ২৬৩। বুধবার পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৪৩ শতাংশ। তাই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলেই যে নিশ্চিন্তে মাস্কবিহীন হয়ে ঘুরে-বেড়ানো যায় না, তা টের পাওয়া যাচ্ছে।
ভ্যাকসিন যে কখনও করোনার সম্পূর্ণ রক্ষাকবচ নয়, তা বারবারই বলে এসেছেন চিকিত্সকেরা। তাই অনেকেই করোনা টিকার (Covid Vaccine) দ্বিতীয় ডোজ় (Scond Dose) পাওয়া সত্ত্বেও উত্সবের মরশুমে বারবার সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দুর্গা পুজোর সময় যে চরম অসতর্কতার ছবি ধরা পড়েছে, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কোভিড বিধির (Covid Rules) তোয়াক্কা না করেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন মানুষজন।
আর পুজো মিটতেই যে ছবি সামনে আসছে, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে চিকিত্সকদের ভয় মোটেই অমূলক ছিল না। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার (KMC) দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র কলকাতায় (Kolkata) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০ জন, যার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়ে নিয়েছেন। আর এই রিপোর্টই নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে পুরসভার কর্তাদের।