Monday, April 29, 2024
spot_img
spot_img
Homeখবরতৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ‘অস্বচ্ছ’ মুখের ভিড়, দলের অন্দরেই প্রশ্ন বর্ধমানে।

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ‘অস্বচ্ছ’ মুখের ভিড়, দলের অন্দরেই প্রশ্ন বর্ধমানে।

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ‘অস্বচ্ছ’ মুখের ভিড়, দলের অন্দরেই প্রশ্ন বর্ধমানে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোথাও দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী হতে দেওয়া হবে না, নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়ে প্রতিটি সভা থেকে এই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন, নিজে এই ব্যাপারে নজর রাখবেন, কিন্তু তারপরও পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েই গিয়েছে। প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরেও তৈরি হয়েছে অসন্তোষ, অনেকে আবার ক্ষোভে গোঁজ প্রার্থী হয়েছেন, এইসব দেখে বিরোধীরা বলছেন, ’দুর্নীতিগ্রস্তরাই তৃণমূলের সম্পদ।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে রাজ্য জুড়ে, ওই সময়েই প্রকাশ্যে আসে প্রাসাদোপম অট্টালিকা থাকা সত্ত্বেও সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর শেখের।

যদিও আবাস দুর্নীতি সামনে চলে আসার পরে তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেয় ব্লক প্রশাসন, সেই কোটিপটি জাহাঙ্গীর শেখ এবারও তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস জাহাঙ্গীরকে প্রার্থী করলেও মেমারির বিজুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে এবার প্রার্থী করেনি দল, দুর্গাপুরের সভা থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করেছিলেন, ক্ষোভে দুঃখে ঝর্ণা স্বদলবলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ’সততার সঙ্গে পঞ্চায়েত চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েও দলের কাছে মূল্য পেলাম না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোথাও দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী হতে দেওয়া হবে না।নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়ে প্রতিটি সভা থেকে এই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি তিনি এও বলেছিলেন, নিজে এই ব্যাপারে নজর রাখবেন। কিন্তু তারপরও পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েই গিয়েছে। প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরেও তৈরি হয়েছে অসন্তোষ, অনেকে আবার ক্ষোভে গোঁজ প্রার্থী হয়েছেন, এইসব দেখে বিরোধীরা বলছেন, ’দুর্নীতিগ্রস্তরাই তৃণমূলের সম্পদ। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে রাজ্য জুড়ে, ওই সময়েই প্রকাশ্যে আসে প্রাসাদোপম অট্টালিকা থাকা সত্ত্বেও সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর শেখের, যদিও আবাস দুর্নীতি সামনে চলে আসার পরে তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেয় ব্লক প্রশাসন। সেই কোটিপটি জাহাঙ্গীর শেখ এবারও তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস জাহাঙ্গীরকে প্রার্থী করলেও মেমারির বিজুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে এবার প্রার্থী করেনি দল, দুর্গাপুরের সভা থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।

ক্ষোভে দুঃখে ঝর্ণা স্বদলবলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ’সততার সঙ্গে পঞ্চায়েত চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েও দলের কাছে মূল্য পেলাম না। একই রকম ভাবে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মেমারির দলুইবাজার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমা কোড়া। আদিবাসী পরিবারের মেয়ে ঝুমা বসবাস করেন একটি মাটির বাড়িতে, প্রধান পদে থেকেও উপার্জনের জন্য তিনি খেতমজুরির কাজ করেন। আর প্রধান হিসাবে পাওয়া অনুদানের অর্থ দিয়ে তিনি তাঁর পড়াশোনার খরচ চালাতেন, এহেন দৃষ্টান্ত তৈরি করে বহুজনের প্রশংসা কুড়োনো ঝুমাকে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস দল। আর দলের এমন সিদ্ধান্তে কার্যতই হতাশ তিনি। তবে ঝুমা অবশ্য এখনও অন্য দলে যাননি।
খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে উপপ্রধান হওয়ার পর থেকে জাহাঙ্গীর শেখের আর্থিক অবস্থার উন্নতি রকেট গতিতে হতে শুরু করে, তা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

সেটা জেনে স্থানীয় নেতৃত্বের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে জাহাঙ্গীরকে দলের শাঁকারি অঞ্চলের সভাপতি বা পুনরায় পঞ্চায়েতের প্রার্থী করলে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে, দলীয়স্তরে চিঠি পাঠিয়ে সেটা জানান স্থানীয় নেতৃত্ব। এমনকি জাহাঙ্গীর নানারকম বেআইনি কাজকর্মে জড়িত বলে চিঠি লিখে অভিযোগও করা হয়েছিল, এরপরেও তিনি কীভাবে প্রার্থীপদ পেলেন তা নিয়ে খণ্ডঘোষের অনেক নেতাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, যদিও এইসব সমালোচনা নিয়ে কোনও মাথা ঘামাতে চান না জাহাঙ্গীর শেখ, তাঁর বক্তব্য, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনেই এখন তিনি ব্যস্ত। খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ এইসব নিয়ে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি, তিনি শুধু বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের প্রার্থী হওয়াটা দলীয় সিদ্ধান্ত।’ আর খণ্ডঘোষ ব্লকের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের জবাব, ‘জাহাঙ্গীরকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে জামালপুরেও বিতর্ক ছড়িয়েছে, এবারেও জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতে শেখ শাহাবুদ্দিন ওরফে দানি এবং শেখ ফিরোজের স্ত্রী হাসনাহারা বেগমকে দল প্রার্থী করেছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার অনেক আগেই জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি দানি এবং ফিরোজের বিরুদ্ধে বালির অবৈধ কারবারে যুক্ত থাকা ছাড়াও আর্থিক দুর্নীতি, স্বজনপোষণের নানা অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী সহ জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেও পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্ব দানিকে বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি করে।

এবারও দানি এবং ফিরোজের স্ত্রী হাসনাহারা বেগমকে প্রার্থী করেছে দল, দানি নিজের দাপটে ইতিমধ্যেই বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের পথও এক প্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দানি ও ফিরোজের বিরুদ্ধে যে যে জনপ্রতিনিধি অভিযোগ জানিয়েছিলেন দল তাঁদেরই ব্রাত্য করে দিয়েছে, ওইসব জনপ্রতিনিধিদের কাউকেই তৃণমূল কংগ্রেস এবার প্রার্থী করেনি, যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াতে চাননি জামালপুর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই বিষয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েননি, তিনি বলেন, ‘বড়লোক দুর্নীতিগ্রস্তরাই তৃণমূলের সম্পদ। তাই তাঁরাই তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছেন, আর গরিব-খেটে খাওয়া মানুষ কিংবা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তৃণমূল কর্মীরা দলে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন, একই বক্তব্য সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষের।

আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা, আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন:- 9434674111
আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা, আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন:- 9434674111

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments