অশান্ত ভাঙড়ের দায়িত্বে ফের শওকত মোল্লা, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিল নবান্ন।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে ব্যপক সন্ত্রাস দেখেছে বাংলা, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দুদিনে বোমাবাজি, গোলাগুলি, প্রাণহানী কিছুই বাদ যায়নি, সেই ভাঙড়ে মনোনয়নকাণ্ডে শিরোনামে উঠে এসেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার নাম। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থাকছেন শওকত মোল্লাই। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় এই তৃণমূল বিধায়ককে এবার থেকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
প্রশাসনিক সভা চলাকালীন একবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা তাঁর এলাকায় একটি বাস টার্মিনালের আবদার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, সেই সময় মমতা বলেছিলেন, ‘বাস টার্মিনাল দিয়ে তুই কি করবি? তুই তো বোমা বাঁধিস’। এবার সেই বোমা বাধা তৃণমূল বিধায়ককেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শওকত মোল্লার নিরাপত্তা বৃদ্ধি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে শওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে, গত শুক্রবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস গিয়েছিলেন ভাঙড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে। সেখানে গিয়ে তিনি বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি, রাজ্যপালকে দেখে এগিয়ে আসেন কিছু আইএসএফ কর্মী। তাঁদের একাংশ দাবি করেছিলেন, “শওকত মোল্লার নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী দাপিয়ে বেড়িয়েছে।” এরপরেই নিজের সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান শওকত মোল্লা কে?” তাঁরা জবাব দিয়েছিলেন, শওকত মোল্লা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা দাবি করেছিলেন, তাঁকে খুন করা হতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কাশিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই সময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, সেই ভিডিও বার্তায় শওকত মোল্লাকে বস্তা বন্দি করে খালে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। সেই সময় শওকত মোল্লা বলেছিলেন, “আইএসএফ কর্মীদের আমাকে বস্তাবন্দি করে খালে ফেলার কথা শুনেছিলাম। নওশাদ সিদ্দিকির প্ররোচণাতেই এই সব হচ্ছে বলে মনে করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।”