পিসি নিউজ বাংলা : পেট্রল-ডিজ়েল থেকে রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে আবার রান্নার তেল থেকে দুধ, আটা থেকে নুন- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গত এক দশকে সীমা ছাড়িয়ে গেল।
মোদী সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ২২টি খাদ্যপণ্যের দামে নজরদারি করে। সরকারের হিসাব বলছে, এর মধ্যে ৯টির মাসিক গড় দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। এই দাম এপ্রিলে রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। গম, আটা, ভোজ্য তেল, বনস্পতি, দুধ, এমনকী, নুনের দামও ২০১২-র পর থেকে এতটা বাড়েনি।
অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘মানুষের পকেট খালি করার পরে এবার মোদী সরকার খাবারের থালাও খালি করে দিয়েছে।’’
অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে নীতি বদলে সুদের হার বাড়াতে হয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারে সবথেকে বেশি ধাক্কা দেয়। এভাবে তা বাড়তে থাকলে মূল্যবৃদ্ধির হারও বাড়বে। এর পেছনে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণ রয়েছে বলে
অর্থনীতিবিদদের একাংশের অনুমান। গত এক বছরে পেট্রলের দাম ১৬ শতাংশের বেশি, ডিজ়েলের দাম ১৯ শতাংশের বেশি এবং রান্নার গ্যাসের দাম ১৭ শতাংশের বেশি বেড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোদী সরকার উজ্জ্বলা প্রকল্পে ৮.৯৯ কোটি গরিব পরিবারকে নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বিদ্রূপের শুধু কেন্দ্রের সরকারকে একহাত নিয়ে সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘নিখরচায় গরিব পরিবারকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়ে সরকার ঢাক পিটিয়েছিল। কিন্তু তারপরে ভর্তুকি তুলে দিয়ে গ্যাসের দাম এতই বাড়িয়েছে যে ৯০ লক্ষ পরিবার আর গ্যাসের সিলিন্ডার কেনেনি। ১.০৮ কোটি পরিবার বছরে মাত্র একটি সিলিন্ডার নিয়েছেন। জ্বালানিতে লুট, ভর্তুকি-চুরির আর কত খেসারত জনতাকে দিতে হবে?’’
এদিকে সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া।
কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা মন্তব্য করেছেন, ‘‘কোনটা আসল সমস্যা দেশের মানুষ তা ঠিকই বুঝতে পারবেন।’’