Saturday, May 4, 2024
spot_img
spot_img
Homeআবহাওয়াকলকাতায় দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা.কী বলছে হাওয়া অফিস?

কলকাতায় দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা.কী বলছে হাওয়া অফিস?

দিগন্তরেখা স্পর্শ করেছে শীত (winter)। রবিবারেও দেখা নেই রোদের। মাঘের শুরুতে না মিলছে শীত, না দেখা মিলছে ঝলমলে রোদেলা আকাশের। উল্টে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কলকাতায় দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

সকালের দিকে ঘন কুয়াশায় ভরে থাকবে আকাশ। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। রবিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি।

আগামী ২৫ জানুয়ারি ফের বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৬ তারিখ থাকে বদলাতে শুরু করবে তাপমাত্রা। আগামী সপ্তাহে বৃহস্পতিবারের পর থেকে ফের তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে পারে। দেখা মিলতে পারে শীতের। তবে সেই শীত কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনই বলতে পারছেন না আবহবিদরা।

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবটা একটু বেশি থাকবে। এই তিনদিন বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় সব ক’টি জেলাতেই। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এই অকাল বৃষ্টির ফলে বার বার বিঘ্নিত হয়েছে শীত। পারদ পতনের টানা বেশিদিন দেখা যায়নি রাজ্যে। এরই মধ্যে আবারও রাজ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আকাশের মুখ ভার।

রবিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল কলকাতা ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা যেমন- রাজারহাট, নিউটাউন, সল্টলেক বাগুইহাটি এয়ারপোর্ট । দু-এক পশলা বৃষ্টিও হয় নিউটাউনে। ঘন কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে চলে যানবাহন। নিউটাউন বিশ্ববাংলা সরণিতে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলে গাড়ি। পাশাপাশি বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম তবে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

আবহবিদরা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সাধারণত কাশ্মীর থেকে ভারতে প্রবেশ করে। তার জেরেই উত্তর ভারতে তুষারপাত হয়। কিন্তু, সম্প্রতি একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে মধ্য ভারত হয়ে সরাসরি বঙ্গে প্রবেশ করছে। যার জেরে পিছু হটছে শীত। তাই আপাতত জাঁকিয়ে ঠান্ডা পরার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

জলবায়ু বদলের চক্করে বাংলা কীভাবে ভুগতে পারে তা নিয়েও নানা মুনির নানা মত। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’-এও সেই প্রতিফলন ঘটেছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, জলবায়ু বদলের ইঙ্গিত তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে বাড়ছে ঝড়, বন্যা, অতিবর্ষণ, বজ্রপাত ও খরার বিপদও। গাঙ্গেয় বঙ্গের দুটি জেলায় যে খরার প্রকোপ দেখা যেতে পারে সে আশঙ্কার কথাও ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে।

অ্যাটলাসে প্রকাশিত ১৯৬১ সাল থেকে ২০২০ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করলে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদের তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। এই তিন জেলায় রয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও। খরা দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়। অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া বাদে গোটা রাজ্যে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments