উত্সবের মরশুমেও করোনা বিধিনিষেধ লাগু রাজ্যে। বিধি বাড়িয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে কার্যকর থাকবে নিষেধাজ্ঞা। বলবত্ থাকছে রাত ১১টা-ভোর ৫টা অবধি নাইট কার্ফু। মাঝে শুধু পুজোর ১০ দিন তুলে নেওয়া হবে এই বিধি। অর্থাত্ দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মীপুজোর জন্য ১০ অক্টোবর-২০ অক্টোবর রাজ্যে থাকছে না নাইট কার্ফু। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবারেও লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে কোনও স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এদিকে, রাজ্যে অব্যাহত করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৭৪৯ জন, উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। একদিনে মৃত ১৫ জন, রাজ্যে করোনার প্রভাবে মোট মৃত্যু ১৮,৭৯৩ জনের। গত দেড় বছরে রাজ্যে করোনার জেরে মোট সংক্রমিত ১,৫৬,৯৭০। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৭৪৪ জন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত রাজ্যের সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ১৫,৪২,৭০৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩২%, সক্রিয় সংক্রমণ।
অপরদিকে, রাজ্যে যে হারে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু বেড়েছে, সেই পরিসংখ্যানে সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা, তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া এবং হুগলি। অতএব দক্ষিণবঙ্গের সার্বিক সংক্রমণে কিছুতেই সাড়ে ৭৫০-র দৈনিক গেঁরোর বাইরে বেরোচ্ছে না রাজ্য।
অপরদিকে, আবারও দেশের কোভিড-গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পরপর দু’দিন ২০ হাজারের নীচে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার সেই পরিসংখ্যান সাড়ে ২৩ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ হাজার ৫২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৩১১ জনের। বুধবার পর্যন্ত দেশে ৮৮ কোটির বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত কয়েক মাস ধরেই কেরল ও মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কেরলেই নতুন করে করোনায় কাবু ১২ হাজার ১৬১ জন। একদিনে দক্ষিণের এই রাজ্যে করেনার বলি আরও ১৫৫।