ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণারত নবম-দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত চাকুরিপ্রার্থীদের ধর্ণা অবস্হান আজ ১৪১ দিনে পড়লো। গুরুতর অসুস্থ চাকরিপ্রার্থীদের দফায় দফায় এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
প্রথম দফায় ডাক পাওয়া সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নাম্বার ভিত্তিক মেধাতালিকা না প্রকাশ; ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ মেধাতালিকায় সামনের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থী হয়েও পাননি নিয়োগ অথচ মেধাতালিকার পেছনের দিকে থাকা বহু প্রার্থী এমনকি ফেল করা প্রার্থীদেরও অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবৈধভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে যথাক্রমে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন;২০২১সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন;২০২১ সালের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্ণা। যা আজ ১৪১ দিনে পড়েছে। ২০১৯ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো প্রার্থী বঞ্চিত হবে না। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে ২০১৯ সালে দেওয়া মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেও কার্যকর হয়নি। তার উপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের লাগাতার অবৈধভাবে নিয়োগ চলছে।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ ও দিয়েছিলেন। কিন্তু সমাধান হয়নি সমস্যার।অবৈধভাবে ভাবে পঞ্চ প্রতিনিধিদের একাংশ সহ কিছু জনকে চাকরি দিয়ে যে আন্দোলন ভেঙে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল কমিশন তা আজ আর হলো না। নদীয়া জেলার আন্দোলনকারী ইউনিস বিশ্বাস জানিয়েছেন;এই দীর্ঘ আন্দোলনে মঞ্চে থাকতে থাকতে ক্লান্ত। বাড়ি গেলে নিজের ছেলেও আমাকে চিনতে পারেনা এখন ভালো করে।মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে আমার ছেলে”। মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দাবী সোনার বাংলা গড়ার কান্ডারী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অতি দ্রুত তাদের নিয়োগ করতে হবে। বঞ্চিতরা ন্যায্য চাকরি পাক ;বুদ্ধিজীবি থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন।