পিসি নিউজ বাংলা : ১৩ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার। ওই শিক্ষককে প্রথমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু তার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন সরকারি কৌঁসুলিরা। সোমবার নতুন রায় দেয় উচ্চ আদালত।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমে ওই শিক্ষকের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার (৪ এপ্রিল) দেশটির হাইকোর্টের বিচারকরা ওই আদেশ বাতিল করে অভিযুক্ত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হেরি উইরাওয়ানের ধর্ষণের এই ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। এরপরই দেশটির ধর্মীয় আবাসিক স্কুলে শিশুদের যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। সোমবার বান্দুং হাই কোর্টের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিচারক জানিয়েছেন, আমরা মামলার বিবাদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছি। তবে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না সে বিষয়ে শিক্ষক হেরির আইনজীবী ইরা ম্যামবো কোন মন্তব্য করেননি। এ বিষয়ে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই মন্তব্য করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতের এক বিচারক বলেন, ইন্দোনেশিয়ার এক ইসলামিক স্কুলের শিক্ষক ছিল অভিযুক্ত হ্যারি উইরাওয়ান। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাদের বয়স ১২–১৬ এর মধ্যে। তার মধ্যে আটজন নাবালিকা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই জঘন্য কাজের জন্য আদালত দোষীকে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল। কিন্তু সরকারি আইনজীবীর সওয়ালের পর আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। অপরাধী গত ফেব্রুয়ারি থেকেই জেলে রয়েছে। তখন থেকেই চলছিল মামলা।
ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষামন্ত্রী-সহ দেশটির সরকারি কর্মকর্তারাও ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি তোলেন। তবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতাকারী ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মন্তব্য, এই সাজা যথাযথ নয়।