জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে সিবিআই তদন্ত একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছে । সেই সময়ের ডিএনএ পরীক্ষার তথ্য-তালাশও শুরু হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সূত্রে খবর, প্রথমে ৩৭ জনের দেহ শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তার পরে ১৩ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছিল ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রথম পরীক্ষায় ৮ জনের দেহ শনাক্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় পরীক্ষায় ৫ জনের দেহ শনাক্ত হয় । আর জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ডে ধৃত অমৃতাভ চৌধুরীর দেহ শনাক্ত হয়েছিল প্রথম পরীক্ষাতেই।
২০১০ সালের ২৮ মে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার রাজাবাঁধে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা হয়। সেখানে ১৪৮ জন মারা গিয়েছিলেন। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে। জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ড সামনে আসার পরে পুরনো নথিপত্র খতিয়ে দেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশন রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের ‘ডিএনএ প্রোফাইলিং’ সম্পর্কে জানতে মেদিনীপুর মেডিক্যালকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু রেলের খড়্গপুরের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট সুশীলকুমার বেহেরার বক্তব্য , এমন কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডুও বলেন, ‘‘ডাক-ফাইল আমি নিজেই দেখি। সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনও চিঠি এসেছে বলে মনে পড়ছে না।’’ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একটি মুখবন্ধ খাম এসেছিল বলে শুনেছি। কিছু তথ্য না কি জানতে চাওয়া হয়েছিল।’’
এখন মেদিনীপুর মেডিক্যালে কোনও দেহাংশ সংরক্ষিত নেই। কলকাতার তিন হাসপাতালের মর্গে অশনাক্ত দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল । তাহলে অমৃতাভের ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট মিলল কী করে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।