পিসি নিউজ বাংলা:- ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস। তার পর দিনই আসল খেলা হবে দিবস। সে দিন থেকে শুরু হবে নতুন রাজনৈতিক লড়াই। বিজেপি-বামেরা হাত হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এটা মেনে নেব না। এবার এর বিরুদ্ধে আন্দোলন-প্রতিবাদ শুরু হবে। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেই। রবিবার বেহালার মঞ্চ থেকে এই ভাবেই কেন্দ্র-বিজেপি-নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদী জিতবেন না। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেই। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। যেভাবে জিনিসপত্র, গ্যাস-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, দেশে বেকারত্ব বাড়ছে- তা নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, অনেক দিন চুপ করে ছিলাম। কিন্তু, আর নয়। এবার আরও বড় আন্দোলন শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সরকাকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, এই সরকার দেশের ইতিহাস পাল্টে দিচ্ছে।
স্বাধীনতা আন্দোলনে যে দলের কোনও ভূমিকা ছিল না, তারাই আজ বড় বড় কথা দিচ্ছে। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আমাদের একটাই কাজ-একটাই লক্ষ্য বিজেপির পরাধীনতা থেকে মুক্ত হওয়া। আর সেই কাজটা তৃণমূল কংগ্রেস করছে বলেই বিজেপি নেতারা এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করে মমতা বলেন, মীরজাফর, গদ্দাররা আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আপন স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে বিসর্জন দিতেও এদের সমস্যা নেই। এ দিনের সভা থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করে তাঁর হুঙ্কার, ‘একাধিক রাজ্যের মতো চক্রান্ত করে বাংলাতেও সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্ত সেটা আমরা কোনও ভাবেই হতে দেব না।’ আমজনতার উদ্দেশে এর পরই মমতার আহ্বান, পথে নেমে নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। নিজেকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিজেপি যে ভাবে দেশকে বেচে দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আরও বড় প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
Mamata Banerjee ১৬ অগাস্ট থেকে নতুন রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু, হুংকার মমতার।
MORE NEWS – আমার বাড়িতে ইডি, সিবিআই গেলে আন্দোলনে নামবেন তো?’ দলের কর্মীদের প্রশ্ন মমতার।
প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়েছে। এমন অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। এবার তাঁর বাড়িতে যদি ইডি, সিবিআই হানা দেয় তখন দলের কর্মীরা কী করবেন ? রবিবার বেহালার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের উদ্দেশে ঠিক এই প্রশ্ন করেন। CONTINUE READING