1)কবিতা:-বাদলা হাওয়ায় সন্ধ্যা
কলমে:-শাওন মন্ডল (পাপন) হুগলি জেলা।
বাদলা হাওয়ায় সন্ধ্যা নেমেছে উড়েছে শালিখ চুপে,
ক্ষেতে-প্রান্তরে ভরিয়া আছে কালো খড়ের স্তূপে।
হ্যারিকেন জ্বেলে গাড়োয়ান ঐ চলেছে যে পথে ধীরে,
সন্ধ্যা পোকারা ধরেছে যে গান সন্ধ্যাটাকে ঘিরে।
উড়িতেছে সাদা ধুলো মাঠ-প্রান্তরে রাশি-রাশি,
জীবন প্রবাহে এমন সন্ধ্যা বড়ই যে ভালোবাসি।
স্বর্নাভ রোদ নিভে গেছে দেখি তারাদের যত সারি,
পূর্নিমা চাঁদ ওঠেনি তবু করেছে হয়তো আড়ি!
ঘনায়মান আাঁধারে যেতেছে ডুবে বাহিত গরম বাতাস,
ক্ষুধিত শকুনের ন্যায় এ আঁধার ফেলিতেছে নিঃশ্বাস।
হঠাৎ দুজন করে গুঞ্জন হেঁকে হইল সারা,
গগনতলে বসে হেনকালে দেখিলাম বারিধারা।
2)কবিতা:-আমি গর্বিত বাঙালি
কলমে:-শাওন মন্ডল (পাপন)
জন্মেছি আমি বঙ্গভূমিতে,বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার রাজপথ দিয়ে হাজার বছর চলি।
চলি উর্বর পলি মাটি দিয়ে,পায়ের চিহ্ন ফেলে।
নদী,মাঠ,ক্ষেত শুধায় আমায় তুমি কোথা হতে এলে।
গর্ব করিয়া বলি…..
মোরা তো এসেছি রবি,নজরুল,জীবনানন্দ থেকে।
এসেছি মোরা যে কলাম,মুজিব,সুভাষ বোসের থেকে।
মোরা তো এসেছি জসীম্উদ্দিন,লালন ফকির থেকে।
এসেছি বাঙালি আউল-বাউল-মাটির দেউল থেকে।
এসেছি আমার পিছনে হাজার চরনচিহ্ন ফেলে,
শুধাও আমাকে এতদূর তুমি কোন প্রেরনায় এলে?
এমন হাজারো প্রেরনা নিয়ে আমি বাংলায় পথ চলি,
নীলাকাশ চোখে- বিশ্বাস বুকে -পায়ে উর্বর পলি।
আমি গর্বিত বাঙালি.
3)কবিতা:-আশঙ্কা
কলমে:-শাওন মন্ডল (পাপন)
জীবনটা আজ কঠিন ধাঁধার বদ্ধ বেড়াজালে,
আজ জীবিত কাল বা মৃত হয়তো লেখা ভালে!
খবর চ্যানেল-পত্রিকা আজ খুলতে লাগে ভয়,
চারিদিকে কত মৃত্যুমিছিল কী যে কখন হয়!
মহামারি ছিল হঠাৎ করেই রূপ নিল অতিমারি,
দেশে-দেশে কত পড়িল যে শত মৃত লাশের সারি।
না জানা কজন হারালো স্বজন বিয়োগ হইল প্রাণ,
অতিমারি এসে বুঝালো যে শেষে সবই সাম্যের গান।
দন্দ্ব ভুলিয়া দু হাত তুলিয়া করি তাকে আহ্বান,
সংকট দিন হয় যেন ক্ষীণ হয় যেন অবসান।
মনেতে যে কবু আশঙ্কা তবু যাচ্ছে দিয়েই হানা,
নব প্রভাত দেখতে কী পাব?নেইকো সবার জানা।