হাত খোয়ানো আজ এক বছর হলো এখনও পর্যন্ত কোনো রকম সরকারি সাহায্য পেলোনা সুস্মিতা মন্ডল।
উল্লেখ্য: চ্যানেল করতে গিয়ে সংক্রমণের জেরেই হাত বাদ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ভর্তি হয়েছিলেল নিমুনিয়া আক্রান্ত হয়ে। সপ্তাহ দুয়েক পর বাদ পড়ল হাত।
মাঝে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতা দৌড়ঝাঁপ করলেও কোনও লাভ হল না, রেজিনগরের সুস্মিতা মণ্ডলের। ৬ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন, দিন দুয়েক পর থেকে হাত ফুলতে শুরু করে।
শুরু হয় যন্ত্রণা অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ তারিখ তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। সেখানে পরপর দুটি অস্ত্রোপচার করেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
অবশেষে ১৮ তারিখ তৃতীয় অস্ত্রোপচারে সুস্মিতার ডান হাতের কবজি কেটে বাদ দেন চিকিত্সকরা। পরিবারের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে গাফিলতিতেই চ্যানেল করতে গিয়ে সংক্রমণ হয় সুস্মিতার হাতে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে এত বড় গাফিলতির অভিযোগ অথচ তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস ছাড়া বেশি কিছু বলতে নারাজ হাসপাতালের এমএসভিপি।
এমএসভিপি। সংবাদ মাধ্যমে খবর পান, সঙ্গীতা চক্রবর্তী হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনেরর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মাননীয় প্রতাপ চুনারী মহাশয়। তার পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টুইটের মাধ্যমে সুস্মিতার ক্ষতিপূরণ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর গাফিলতির কঠোর শাস্তি চেয়ে আর্জি জানান।
দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত কোনো সুরাহা মিলেনি সুস্মিতা মন্ডলের। সুস্মিতা মন্ডল নবান্ন থেকে শুরু করে, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং এন আর এস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের কাছেও সাহায্যের আবেদন চেয়ে লিখিতভাবে জানান।
তাতেও এখনো পর্যন্ত কোন সাহায্য তো দুরের কথা ফোনের মাধ্যমে কেউ খোঁজ নেয়নি বলে সুস্মিতা মন্ডল জানান। সুস্মিতা মন্ডল জানান, আমার একটা ছোটখাট কাজের ব্যবস্থা সরকার যদি করে দেয় তাহলে আমার খুব ভালো হয়, আমার সংসারের আর্থিক কাঠামো খুব একটা ভালো নয়।
আমাকে কোন একটা কাজ দিলেই টেনেটুনে আমার সংসারটা চলে যাবে। অনেকের কাছেই অনেক রকম ভাবেই আবেদন করেছি, সরকার থেকে শুরু করে এনজিও, সমাজসেবী থেকে শুরু করে সবার কাছেই একটা কাজের আবেদন করেছি, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন রকম ভাবেই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
আর কিভাবে কি করলে সরকার আমাকে একটু সাহায্য করবে আমি বুঝতে পারছি না, আমি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়েছিলাম, যে যেখানেই যেতে বলেছি আমি সেখানে গিয়েছি, কিন্তু কেউ আমার কষ্টের ভাগ নিচ্ছো না, আমার কষ্টের ভাগ বোঝার চেষ্টাও করছে না।
কার কাছে গেলে আমার একটা কাজের ব্যবস্থা হবেই বা আমি একটু সাহায্য পাব সেটাই আমি বুঝতে পারছিনা। আমার এই বিপদের দিনে কেউই আমার পাশে দাঁড়াচ্ছে না। শুনেছি জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের কথা খুব ভাবেন, কিন্তু কই একজন মহিলা এরকম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, সরকারের দুয়ারে দুয়ারে দরখাস্ত হাতে নিয়ে আজ এক বছর হয়ে গেল, কোনও সুরাহা হলো না কোথায় মুখ্যমন্ত্রীর দরদ।
জনস্বার্থে বিজ্ঞাপন
সুস্মিতা মন্ডলের আবেদন: সকল সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে, সকলস্তরের সকল মানুষের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আমাকে একটা ছোট্ট কাজ দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন। একটা ছোট্ট কাজ আমার পুরো পরিবারকে বাঁচিয়ে দেবে, আমি বড় অসহায় আমার পাশে দাঁড়ান আমার পরিবারকে বাঁচান। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি, আপনাদের সাহায্যের আশায় আমি অপেক্ষায় রইলাম।
@MamataOfficial Hon'ble Chief Minister Murshidabad has been cut off the whole hand while trying to treat pneumonia at Baharampur Medical College Hospital. Take a good look at the treatment of a woman and help her by providing compensation for the woman who has been cut off.
— PROTAP CHUNARI (@ProtapChunari) January 21, 2020