স্বামীর মারের হাত থেকে বাঁচতে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছে সহযোগিতার আবেদন বিকলাঙ্গ মহিলার।
মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার অন্তর্গত আন্দুলবেড়িয়া গ্রামের নাড়ুগোপাল মন্ডলের সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় নওদা থানার অন্তর্গত বাইতিগাছা গ্রামের বিকলাঙ্গ মহিলা টুম্পা মন্ডলের। টুম্পা মন্ডল কানেও শুনতে পায় না এবং মুখেও কিছু বলতে পারেনা, সবকিছু জেনে দেখেশুনেই বিয়ে করেছিল নাড়ুগোপাল, তাদের দুটো মেয়ে সন্তানও হয়, এক মেয়ের নাম মন্দিরা মন্ডল বয়স 7বছর আরেকজন মেঘনা মন্ডল বয়স চার, সবকিছু ঠিক ঠাকই চলছিলো, বছর চারেক আগে শুরু হয় গন্ডগোল, প্রায়ই, অত্যন্ত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হতো টুম্পা মন্ডলকে।
মাঝে মাঝেই মায়ের বাড়িতে থাকতো মেয়ে, টুম্পা মন্ডল। বছরখানেক আগে রেজিনগর থানায় জানালে কিছুদিন ঠিকঠাক চলছিল সংসার। মাস ছয়েক আগে রাত্রি নটার সময় টুম্পাকে অত্যন্ত মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় নাড়ুগোপাল। টুম্পার বাড়ির লোক খবর পেয়েই গাড়ি ভাড়া করে ওই রাত্রে বাড়িতে নিয়ে আসে টুম্পা ও তার ছোট্ট মেয়ে মেঘলাকে, এদিন হঠাৎ স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসে নাড়ুগোপাল, কিন্তু, মেয়ের প্রতি অত্যাচারের কথা ভেবেই মেয়েকে জামাইয়ের সঙ্গে পাঠায়নি মেয়ের পরিবারের লোকজন, নাড়ুগোপাল স্ত্রীকে না পেয়ে তার ছোট্ট মেয়ে মেঘনা মন্ডলকে নিয়ে চলে যায়, ছোট্ট মেয়েকে কাছে না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা টুম্পা মন্ডল। তাই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে টুম্পা মন্ডলের মা ছুটে জান এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের কর্মী রংমহল শেখের কাছে, রংমহল শেখ তড়িঘড়ি করে, সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মাননীয়া সঙ্গীতা চক্রবর্তীর কাছে জানান এবং একটি লিখিত অভিযোগও নেন তিনি। টুম্পা মন্ডলের পরিবারের আবেদন, মেয়ে যেন সঠিক ভাবে সংসার করতে পারে এবং মেয়ের প্রতি যেন কোন রকম অত্যাচার না হয়, এই অত্যাচার প্রতিরোধ করার জন্য সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থা যদি সাহায্য করে তাহলে খুব ভালো হয়।
রেজিনগর থেকে সুকদেব হালদারের রিপোর্ট পি সি নিউজ বাংলা।