কথায় বলে ‘সব তীর্থ বার বার, গঙ্গা সাগর একবার।’ আসল কথা হলো, এক সময় গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল খুবই কঠিন। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি হয়। ফলে এখন কিন্তু গঙ্গাসাগর যাত্রা অনেক সহজ হয়ে গেছে।এবারের মকর স্নান আসন্ন। প্রতি বছরের মতো এ বছর মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে গঙ্গাসাগরে লাখ লাখ পুন্যার্থী উপস্থিত হবে। এ কথা স্বীকার করতে হবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গঙ্গাসাগর ঐতিহাসিক মেলায় পরিণতি পেয়েছে। ফলে পুন্যার্থীদের বিভিন্ন সুবিধার্থে একাধিক বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়েছে। যার ফলে দূর দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যর্থীদের কপিলমুনি মহারাজের দর্শন করা অনেক সুবিধা হয়েছে।প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার পুণ্যস্নান শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন। ওই দিন বেলা ১২টা ১৩ মিনিট থেকে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত পুণ্যস্নানের যোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি বাদ গেল না বীরভূমের বক্রেশ্বর ধামো সেখানে অগণিত মানুষের ভিড় জমেছে। আর সেই পূর্ণ স্নানযাত্রায় মানুষ ভিড় জমিয়েছে, সেখানে সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে দেখা যায় গরম জলের উষ্ণ প্রশ্রবন সেখানে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক গরম জলের ঘাট রয়েছে। সেখানে পূর্ণ স্নান করে মন্দিরে গিয়ে পূজো দিচ্ছেন সকলেই। বক্রেশ্বরে ভৈরব মন্দির ও সতীপিঠে প্রচুর তীর্থযাত্রীদের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতি বছরের মতো এবছরো। এর পাশাপাশি দেখা যায় সেখানে সকল দোকানই পাসার সাজিয়ে বসে আছে। মেলায় নানারকম জিনিস থেকে শুরু করে পুজোর সামগ্রী ও বিতরণ হচ্ছে।
সব তীর্থ বার বার, গঙ্গা সাগর একবার, এক সময় কপিল মুনির আশ্রমে যাতায়াতের ব্যবস্থা খুবই কঠিন ছিল।
- Advertisment -