Saturday, May 11, 2024
spot_img
spot_img
Homeরাজনীতিফেরার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, ত্রাণের ৭৬ লাখ টাকা গায়েব! তার সমস্ত...

ফেরার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, ত্রাণের ৭৬ লাখ টাকা গায়েব! তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ

তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বন্যা ত্রাণের ৭৬ লাখ টাকা গায়েবের অভিযোগে মামলা চলছে। কিন্তু তিনি এখনও অধরা। তাই আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করল পুলিশ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিধার ঘটনা।

এর আগে কুশিধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির নোটিস দেওয়া হয়।

তবুও অধরা সোনামনি সাহা। শাসকদলের এই ফেরার পঞ্চায়েত প্রধানকে ধরতে এক মাস আগে হুলিয়া জারির পর মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁর বাড়িতে নোটিস ঝুলিয়ে আসে প্রধান। সোনামনিকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। ধরা না দিলে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানান হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও তাঁর দেখা মেলেনি। এবার ফেরার পঞ্চায়েত প্রধানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিশ।

বুধবার ফেরার পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে ওয়াশিং মেশিন, টিভি, আলমারি সহ আসবাবপত্র এবং মূল্যবান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর কোথায় কী কী স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যে অভিযোগের ভিত্তিতে হুলিয়া জারি হয়:

২০১৭ সালে মালদহের এক মহকুমা-জুড়ে ভয়াবহ বন্যায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩৩০০ টাকা ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয় সরকারের তরফে। বরুইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৭,৩৯৪ জন। কিন্তু তালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা টাকা পাননি বলে দুর্গতদের অনেকেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। তদন্তে জানা যায়, তালিকায় দুর্গতদের নাম থাকলেও তাঁদের নামের পাশে অন্য ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে।

২০১৭ সালে এই বন্যা ত্রাণের টাকা লুঠের অভিযোগ ওঠে ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে গড়িমসি হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তত্‍কালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তার পর আদালত সক্রিয় হয়। মাস কয়েক আগে পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর করে প্রশাসন। সামনে আসে ত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা তছরুপ হওয়ার বিষয়টি।

এদিকে তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা হতেই গা ঢাকা দেন তিনি। বহু খুঁজেও প্রধানকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের তরফে আদালতকে জানানো হয়। তার পরেই আদালত ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে। এবার তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments