ভূমিকম্পের (EartheQuake) জেরে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে ধূপগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। জানা গিয়েছে, মায়ানমার এই ভূকম্পনের উত্সস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ৫.৫।
বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটা তখন ১২ ছুঁয়েছে। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় হঠাত্ই দুলে ওঠে। বিশেষ করে ধূপগুড়ি। ভূমিকম্পের ভয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষজন। উঁচু বাড়িগুলিতে কম্পন সবথেকে বেশি বোঝা যায়। রাস্তায় নেমে অনেককেই উলুধ্বনি দিতে শোনা যায়। শঙ্খও বাজাতে থাকেন ঘরের মহিলারা। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গাতেও একই সময়ে মৃদু ভূমিকম্প হয়। সেখানেও লোকজন ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
মায়ানমারের ম্যান্ডেলে এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৪৮ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়। যার জেরে দুলে ওঠে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশ। শুধু ভারতই হয় বাংলাদেশের একাধিক জায়গাতেও এই ভূকম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ওপারবাংলার চট্টগ্রাম, সিলেটে ভূমিকম্প হয়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সবথেকে বেশি কম্পন হয়।
এদিনই জাপানের রাজধানী টোকিওতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৬.১। এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ছিল টোকিওর পূর্বদিকের চিবা শহর। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪১ নাগাদ এই ভূমিকম্প হয়। বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলে বিভিন্ন জন-পরিষেবা ব্যাহত হয়। বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচলও। তবে সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।