সদ্য রাজ্যের পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আর সেই দায়িত্ব পেয়েই এ বার শহরের পরিবহণের হাল হকিকত জানতে বুধবার দুপুরে রাস্তায় নেমে পড়লেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। উঠে পড়লেন বাসে। হঠাত্ করে বাসে কেন? মদন সহাস্যে বলেন, ‘আমি তো সাধারণ মানুষ। আমি বাসের যাত্রী।
বুধবার সরকারি বাসের পরিষেবা নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছেন তিনি। সাধারণ যাত্রীদের অভাব-অভিযোগও শুনেছেন। করোনার কারণে বাস পরিষেবার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু তার পরেও সরকারি বাস পরিষেবা দিয়ে গিয়েছে বলে দাবি মদনের। বুধবার তিনি বাসে চেপে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে এই পরিষেবা নিয়ে জানার চেষ্টা করেন। মদন বলেন, ‘আমাকে অনেকেই জানিয়েছেন সরকারি বাসের সংখ্যা আরও বাড়ালে ভাল হয়। বেশ কয়েকটি রুটের কথাও উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গে। কী ভাবে বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায় সেটা দেখা হচ্ছে।’
বাস এবং ট্রাম পরিষেবাকে শুধুমাত্র গণপরিবহণ হিসেবে ব্যবহার না করে বিনোদনের কাজেও কী ভাবে লাগানো যায় সে দিকটাও চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মদন। তত্কালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন মদন। তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু পরিবহণের বিপুল ক্ষতি করেছেন। বসে বসে পরিবহণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তবে ২০১১-র আগে পরিবহণের যে ছবি ছিল, এখন তা আমূল বদলে গিয়েছে বলে দাবি মদনের।
লকডাউনের কারণে রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন যথেষ্ট রয়েছে। তবে যাত্রীদের চাহিদা মতো সরকারি বাস আরও বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান। জ্বালানির দাম বেড়েছে, তা হলে কি সরকার ভাড়া বাড়ানোর কোনও চিন্তাভাবনা করছে? এ প্রসঙ্গে মদনের জবাব, ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। তবে কয়েকটি বেসরকারি বাস ভাড়া বাড়িয়েছে বলে তিনি শুনেছেন, এমনটাই দাবি করেছেন মদন। ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বেসরকারি বাস সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে বেসরকারি বাস সংগঠনের অনেকেই ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে নেই বলেও দাবি মদনের। তবে মানুষ সরকারি বাসেই চড়তে চাইছেন বলে মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক। মোটের উপর যাত্রীরা সরকারি পরিবহণের পরিষেবা নিয়ে অখুশি নয় বলেই দাবি মদনের।