৯ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরোলেন অভিষেক, বললেন, ‘নির্যাস মাইনাস-২
টানা নয় ঘণ্টা জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বার হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ৮ টা ৪৯ মিনিটে প্রবল বৃষ্টি মাথায় করে বের হলেন তিনি। আর বাইরে এসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তাদের ধূপগুড়ির হারের জ্বালা মেটাতেই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই অন্য কোনও দিন তাঁকে ডেকে না পাঠিয়ে বেছে বেছে বুধবার বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠকের দিনই ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ইডির দফতর থেকে বেরিয়েই তিনি বলেন, ‘ইডির অফিসাররা কাজ করছেন। তাঁদের কোনও দোষ দেব না। রাজনৈতিক প্রভূদের জন্য় তাঁদের অনেক কাজ করতে হয়। ৯ ঘণ্টা সাড়ে ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাস হল শূন্য। আগে শূন্য বলেছিলাম আজ বলি মাইনাস ২। এরপর ডাকলে হয়ে যাবে মাইনাস ৪। যত ডাকবে তত মাইনাস হয়ে যাবে। যারা রাজনৈতিকভাবে লড়তে পারে না তারা রাজনৈতিক জমি ফেরৎ পাওয়ার জন্য এসব করছে। তবে ধূপগুড়িতে হেরে যাওয়ার পরে যদি ওরা ভাবে ইডি ডাকলে ওটা ফেরৎ পাওয়া যাবে সেটা হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘‘জটায়ু তাঁর বন্ধু ফেলুদাকে প্রশ্ন করেছিল, একই জিনিস আমরা এক ভাবে দেখছি, আর আপনি অন্য ভাবে দেখছেন, সেটা কী করে হয় ? জবাবে ফেলুদা বলেছিলেন, আপনার আর আমার মধ্যে তফাৎ শুধু দৃষ্টভঙ্গীর। আপনারা আগে অপরাধী ঠিক করে নেন। পরে অপরাধ খোঁজেন। কিন্তু আমি আগে অপরাধ খুঁজি তার পর অপরাধীকে চিহ্নিত করি। ইডিও এখানে জটায়ুর মতোই আগে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে। আগে অপরাধ খুঁজছে না। হয়তো তাই তারা অপরাধের গভীরে পৌঁছতে পারছে না।’ বুধবার সকাল ১১ টার কিছুটা পর কালীঘাট থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অভিষেক। ১১ টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তিনি। চলে যান ছ’তলায়। সেখানেই তাঁর জন্য প্রশ্নমালা নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। বেলা ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবারও ফের সেই সূত্রেই তাঁকে তলব করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। তিনি হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল গত কয়েকদিন ধরে। এরই মাঝে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হলেও এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলেই কলকাতা হাই কোর্টে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
