মালদা: দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার মধ্যে পড়ে রয়েছে মালদার সাংস্কৃতিক মঞ্চ রবীন্দ্র ভবন। একসময় এখানে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। একসময় জেলার সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ছিল এই রবীন্দ্রভবন। এখানে অনুষ্ঠান করেছেন অনেক বিখ্যাত ও বিশিষ্ট শিল্পী। কিন্তু আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে জেলা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিল্পী মহল। তাদের দাবি অবিলম্বে সংস্কার করে খোলা হোক এই রবীন্দ্র ভবন।
জানা যায় ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণ কালিতলা এলাকায় ১৯৮২ সালের অক্টোবর মাসে তত্কালীন রাজ্যপাল ভৈরব দত্ত পান্ডের হাত ধরে এই রবীন্দ্র ভবন এর শুভ সূচনা হয়। মালদা জেলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এই মঞ্চ ছিল সব থেকে বড় নিদর্শন।
নাচ গান কবিতা নাটক সারা বছরই এই মঞ্চ মাতিয়ে রাখত নামি দামি শিল্পীরা। কিন্তু আজ তার ভঙ্গুর দশা। বর্তমানে রবীন্দ্র ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
ভবনের জানলার কাঁচ ভেঙে পড়েছে। মালদা জেলা শিল্পী সংসদের সম্পাদক মলয় সাহা জানান, “আজকে আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ৮০তম প্রয়াণ দিবস বিভিন্নভাবে পালন করছি। কিন্তু আমাদের ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্র ভবন অবহেলার শিকার হচ্ছে। খুব দুঃখ হয় তা দেখে। আজকে এই রবীন্দ্রভবনে যাওয়া যায় না। কারণ, বাইরের লোকদের আনাগোনা রয়েছে রবীন্দ্র ভবন চত্বরে। আমরা চাই রবীন্দ্র ভবন সংস্কার করা হোক ও তা মালদার লোকসংস্কৃতির জগতকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মানবী ঘোষ বলেন, “আমরা চাই রবীন্দ্র ভবনের এই ভগ্নদশা শীঘ্রই সংস্কার করা হোক। জেলা তথ্য এবং সংস্কৃতি দপ্তর ও জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিক। আমাদের জেলার শিল্পীদের বহু স্মরণীয় দিন এই রবীন্দ্র ভবন এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে।” এলাকার এক বাসিন্দা পূর্ণিমা দাস জানান, “দীর্ঘদিন ধরে এই রবীন্দ্রভবনটি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকার ফলে বাইরের লোকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যা হলে শুরু হয়ে যায় অসামাজিক কার্যকলাপ । একজন এলাকার নাগরিক হিসেবে আমরা চাই এই রবীন্দ্র ভবন আবার চালু হোক।”