অজগর দেখতে উপচে পড়ল ভিড় এলাকার এক জলাশয়ের সামনে। গত কয়েকদিন ধরেই অজগর সাপটির দেখা মিল ছিল এলাকায়। এই নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই ছিলেন স্থানীয়রা। অবশেষে এদিন বিকেলে বনকর্মীরা সাপটিকে এলাকার একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করায় স্বস্থি ফেরে গ্রামে।
মঙ্গলবার বিকালে কোচবিহার ১ ব্লকের চান্দামারির রাজপুর গ্রামের একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় ১৫ ফুট লম্বা একটি বৃহদাকার অজগর। অজগরটিকে দেখতে উপচে পড়ল গ্রামবাসীদের ভিড়। গত তিনদিন ধরেই চান্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজপুর গ্রামের ভিতর একটি জঙ্গলে বড় অজগর সাপের অস্তিত্ব টের পান গ্রামবাসীরা।
ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় অজগর এল কী করে এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামে। গৃহস্থের হাঁস, মুরগি ইত্যাদি খেয়ে ফেলতে পারে অজগরটি এই আতঙ্ক ছড়ায়। ফলে সাপটি ধরে নিয়ে যেতে বনদপ্তরে খবরও দেওয়া হয়। কিন্তু ঘন জঙ্গল ও কচুরি পানায় ভরা বড় জলাশয়ের কারনে সাপটি প্রথমে ধরতে ব্যর্থ হন উদ্ধারকারীরা ।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেদুল হোসেন বলেন, ‘রবিবার রাতে বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার উপড় নজরে পড়ে দানব আকৃতির সাপটির। চিৎকারে কয়েক জন জড়ো হলে সাপটি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। সোমবার সকালে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আর খুঁজে পায়নি সাপটিকে।
অপর বাসিন্দা জনক বর্মন বলেন, ‘সোমবার রাতে ফের অজরগরটিকে কয়েকজন গ্রামবাসী একটি জলাশয়ের পাশে দেখতে পান। এদিন ফের খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। বনকর্মীরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় জলাশয়ে জাল ফেলে অজগরটিকে উদ্ধার করেন।’
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ১৫ ফুট লম্বা ছিল অজগরটি। আর অজগর উদ্ধার পর্ব দেখতে ভিড় উপচে পড়ে রাজপুর গ্রামে। কিন্তু কী ভাবে ওই এলাকায় এল অজগরটি? স্থানীয় শিক্ষক নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘মনে হচ্ছে ধরলা নদী হয়ে বর্ষার সময় সাপটি গ্রামের জঙ্গল ও জলাশয়ে আশ্রয় নেয়।’ মোবাইল হাতে অজগরটির ছবি তুলতে ব্যাপক ভিড় হয় রাজপুর গ্রামে। বনদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, অজগরটিকে প্রাথমিক শুশ্রুষার পর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছাড়া হবে।