বছর দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার অন্তর্গত, নওদা আমতলা হাসপাতালকে, স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করার বার্তা দিতে দেখা যায় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ শফিকুল হাসান এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জয় হালদারকে, খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল নওদাবাসী থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ, তবে দু বছর পার হয়ে গেলেও কেউ উদ্যোগমুখী হয়নি, কেউ খোঁজ নেয়নি এই স্টেট জেনারেল হাসপাতাল রূপান্তরিত করার বিষয় নিয়ে, যেমন ছিল তেমনই আছে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থাৎ ফেসবুকে অভিনব কায়দায় নওদাবাসীকে চেতনার বার্তা দিয়ে প্রতিবাদের সুর তুললেন সমাজসেবী বাবন মন্ডল, তিনি দু বছর আগে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালকে, স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করার একটি খবর পোস্ট করে লেখেন,
“নওদা আমতলা হসপিটাল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রুপান্তর,,(ভিডিওটি ২ বছর আগের) এই খবর শুনে শুধু আমি নয় গোটা নওদাবাসী সহ পার্শ্ববর্তী জেলা নদীয়ার মানুষ ও খুশি হয়েছিলেন।
প্রায় ২ বছর পার হলেও কেউ উদ্যোগ মুখি হয়নি, কেউ খোঁজ নেয়নি, এই বড় পাওনা কে পিছিয়ে রেখেছে ২ বছর ধরে।
আসলে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কি জিনিস নওদার মানুষ এখনও বুঝে উঠেনি তাই তারা ৫০০ টাকার ভাতা তে আটকে গেছে।
মুখে চাপ দাড়ি আর কপালে তিলক আপনাদের পছন্দ বর্তমান রাজনীতিতে, সেখানে এত বড় পাওনা তো পিছিয়ে যাবেন।
নওদাবাসী হিসাবে লজ্জা হওয়া দরকার আপনাদের এই সুবিধা থেকে নওদাবাসী কে বঞ্চিত রাখার জন্য।
আজ কোনো রুগীর হালকা জ্বর হলেও বহরমপুর মেডিক্যাল হসপিটালে পাঠানো হয়, এর জন্য তো আমতলা হাসপাতাল দায়ী নয়,,এর জন্য আমরা দায়ী, কারণ মুখে দাড়ি আর কপালে তিলকে বিশ্বাসী আমরা,
ক্ষমতায় তো সবাই থাকে কিন্তু ক্ষমতার ব্যাবহার কতজন পারে,,,,,
শুধু স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বলে নয় এই রকম অনেক উদ্যোগ কে নওদাতে গামছা দিয়ে ঢেকে রেখেছে,,,,
বিঃদ্রঃ দুঃখের বিষয় স্বাস্থ্য সমাজ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বিষয়ে বুঝতে পারলেও নওদাবাসী মুখে দাড়ি আর কপালে তিলকে আটকে আছে।
ঃঃ যদিও আমার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই নওদা রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করার, কিন্তু তবুও কিছু জিনিস না বললেই না।